‘‘সেডেরো শহরের রাস্তাজুড়ে লাশের পাহাড়! ৫ মিনিটের রাস্তা পেরোতে সময় লেগেছিল ১১ ঘণ্টা...’’
যুদ্ধের আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছে ইজরায়েলি শিশু।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই দাঁত-নখ বের করছে প্যালেস্তাইনি (Israel Hamas War) জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। কখনও তারা খুন করছে অসহায় শিশুদের। কখনও আবার আচরণ করছে বর্বরোচিত। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন আশদোদের বাসিন্দা ইয়োসি ল্যান্ডাও। ইজরায়েলের এই বাসিন্দা কয়েক দশক ধরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করছেন মৃতদেহ উদ্ধারের। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের সময়ও তিনি উদ্ধার করে চলেছেন লাশ।
বছর পঞ্চান্নর ইয়োসি জানান, প্রতিদিন সাইরেনের শব্দে ঘুম ভাঙে তাঁর। তার পরেই বেরিয়ে পড়েন দেহ উদ্ধারের কাজে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে গিয়ে খুঁজে বেড়ান লাশ। ইয়োসি বলেন, “আমি গাড়ি উল্টে পড়ে থাকতে দেখেছি। রাস্তায় কত মানুষের দেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। সেই দৃশ্য ভয়ঙ্কর। সীমান্তের কাছাকাছি সেডেরো শহরে অনেক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন।” কয়েক দশক ধরে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ করলেও, এবারই ভয়ঙ্করতম ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ইয়োসি। বলেন, “একটা রাস্তায় এত দেহ পড়েছিল যে ১৫ মিনিটের রাস্তা পেরোতে আমাদের সময় লেগেছিল ১১ ঘণ্টা। কারণ আমরা ব্যাগে করে দেহগুলি তুলছিলাম।”
তবে ইয়োসির বুকে গেঁথে রয়েছে (Israel Hamas War) এক নৃশংশ খুনের ছবি। তিনি বলেন, “একটি বাড়িতে দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখি, ছুরি দিয়ে পেট ফালাফালা করে দেওয়া হয়েছে এক মহিলার। সেখানে একটি শিশুও ছিল। মায়ের নাড়ির সঙ্গে তখনও যুক্ত ছিল শিশুটি। শিশুটিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। দৃশ্যটি দেখে আমি ঠিক থাকতে পারিনি।” এই যুদ্ধের আবহে ইজরায়েলের অনেক মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলেও দাবি ইয়োসির। ইয়োসি বলেন, “আমার কেবলই মনে হচ্ছিল, আমিও বুঝি ছিন্নভিন্ন হয়ে যাব। শুধু আমিই নয়, আমার সঙ্গীরাও।” তিনি বলেন, “দেখলাম, কয়েকজনকে বিষ দেওয়া হয়েছে এবং যৌন হেনস্থা করা হয়েছে।”
আরও পড়ুুন: রক্তাক্ত শিশুর লাশের পাশেই অর্ধদগ্ধ একরত্তির দেহ, হামাস হামলার নৃশংস ছবি প্রকাশ্যে
গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ। ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলে প্রথম হামলা চালায় শিয়া মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। ইহুদিদের সবংশে ধ্বংস করতে মরিয়া হামাস। সেই কারণেই তারা এমন বর্বরোচিত আচরণ করছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।