ফিঙ্গার এরিয়া, গালওয়ান উপত্যকা, হট স্প্রিংস এবং কংরুং নালা সহ একাধিক এলাকায় চীনা সেনাবাহিনী সীমালঙ্ঘন করায় ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে ভারত-চিন সম্পর্কে ফাটল ধরে।
এস জয়শঙ্কর
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) সীমান্ত চুক্তি (Border Pacts) উপেক্ষা করেছে। গালওয়ান উপত্যকায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর এতেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।
আরও পড়ুন: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২
জয়শঙ্কর বলেন, "১৯৯০ সালে চিনের সঙ্গে ভারতের যে চুক্তি হয়েছিল তা মানছে না চিন। সেই সময়ের চুক্তিতে সীমান্ত এলাকায় প্রচুর সৈন্যের জমায়েত না করার কথা হয়েছিল। কিন্তু পুরনো সেই চুক্তির শর্ত উপেক্ষা করছে বেজিং। গালওয়ান উপত্যকায় কী ঘটছে - তা এখন সকলেই জানা। এই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।"
ভারত ও চিনের মধ্যে বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, "এটি একমুখী সম্পর্ক হতে পারে না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। চিন আমাদের প্রতিবেশী। প্রত্যেকেই তাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু এই অনুভূতি দুই দেশের তরফেই থাকা উচিৎ। কিছু শর্ত আছে। আপনি আমাকে সম্মান করলে, তবেই আমি আপনাকে সম্মান করতে পারব।" তিনি আরও বলেন, "ভারত এই দৃষ্টিকোন থেকেই চিনসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রস্তুত। কিন্তু চিন সম্পূর্ণ উল্টোপথে হাঁটছে। সেখানে চিন নিজের শর্ত আরোপ করছে। ভারতের শর্ত উপেক্ষা করছে।"
আরও পড়ুন: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল
ফিঙ্গার এরিয়া, গালওয়ান উপত্যকা, হট স্প্রিংস এবং কংরুং নালা সহ একাধিক এলাকায় চীনা সেনাবাহিনী সীমালঙ্ঘন করায় ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে ভারত-চিন সম্পর্কে ফাটল ধরে। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়। বিদেশমন্ত্রী বলেন, "যেকোনও সম্পর্কই দ্বিমুখী। একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক একমুখী হতে পারে না। আমাদের সেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক সংবেদনশীলতা প্রয়োজন। ভারত-চিন সম্পর্ক যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এটা আর লুকোনোর বিষয় না।"
অন্যদিকে এস জয়শঙ্কর ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সম্পর্কে আরও যাতে উন্নত হয় তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন দুই দেশের সদিচ্ছা, ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার কারণেই ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সুসম্পর্ক অব্যহত রয়েছে।
এই সফরে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিন দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তেমনই জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। প্যারাগুয়েতে ভারতে একটি দূতাবাসও উদ্বোধন করবেন বিদেশমন্ত্রী।