জুলাই মাসে বরিস জনসনের ইস্তফার পর থেকেই শুরু হয়েছিল পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী খোঁজার নির্বাচনী লড়াই। আজ, সোমবার সেই লড়াইয়ের ফল প্রকাশিত হয়।
লিজ ট্রাস - ঋষি সুনাক
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার বিকেলেই ঘোষণা হয়ে গেল ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম। ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন লিজ ট্রাস (Liz Truss)। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে (Rishi Sunak) হারিয়ে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ট্রাস। লিজ ট্রাস ৮১৩২৬ ভোট পেয়েছেন এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক ৬০৩৯৯ ভোট পেয়েছেন। সুনাককে ২০,০০০-এর বেশি ভোটে পরাজিত করেন ট্রাস। এদিন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরাই তাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দিয়ে বেছে নিয়েছেন।
লিজ ট্রাস হলেন ব্রিটেনের তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগে থেরেসা মে, ও মার্গারেট থ্যাচার ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছ, লিজ ট্রাস ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেন ঋষি সুনক-লিজ ট্রাস
উল্লেখ্য, কয়েক মাস কেলেঙ্কারির পরে জুলাই মাসে বরিস জনসন (Boris Johnson) পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং তিনি জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার জন্য মঙ্গলবার রানী এলিজাবেথের সাথে দেখা করতে স্কটল্যান্ডে যাবেন তিনি। দুর্নীতির দায় নিয়ে গত ৭ জুলাই পদত্যাগ করেছিলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বরিস প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতেই ব্রিটেনের রাজনীতিতে ডামাডোল শুরু হয়ে যায়।
তবে লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হলেও তাঁকে বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। ব্রিটেনের যে পরিস্থিতি, তাতে বোঝাই যাচ্ছে, দেশের খুবই দুর্দিনে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন ট্রাস। কারণ, বেশ কিছুদিন ধরেই নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের নাজেহাল অবস্থা। এছাড়াও দেশ জুড়ে জ্বালানি সংকট ও বেকারত্ব তো রয়েছেই। ফলে ট্রাস কীভাবে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে সেটাই এখন দেখার।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে প্রথমে ঋষি সুনাকই প্রথম পাঁচ রাউন্ডে বিশাল লিড পেয়েছিলেন, কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের চূড়ান্ত ভোটে পরে লিজ ট্রাস বিপুল পরিমাণ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তবে ঋষি সুনাকের স্ত্রীর করফাঁকি, নিজের ইউএস গ্রিন কার্ড এবং বিপুল সম্পত্তি ইত্যাদির কারণে তাঁকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়, আর এই কারণগুলোই তাঁর পরাজিত হওয়ার মূল কারণ বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ মহল।