ভুরি ভুরি বৈঠক, আর রাশি রাশি গালগপ্পো...
স্পেনে আলোচনার টেবিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেও ভুরি ভুরি বৈঠক আর রাশি রাশি গালগপ্পো করেছে রাজ্যবাসী। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই অর্থে কোনও লগ্নি আসেনি রাজ্যে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যে বাণিজ্যের প্রসারের জন্য স্পেন সফরে গিয়েছেন। বৈঠকও হচ্ছে নানা সংস্থার সঙ্গে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এত বৈঠক-আলোচনা, এত মউ স্বাক্ষরের নিট ফল কী হবে? লগ্নি আসবে তো? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বিশষজ্ঞ মহলে।
সূত্রের খবর, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) মাদ্রিদের ইন্ডিটেক্স গ্রুপের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। এটা মূলত একটি ফ্য়াশন গ্রুপ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বাংলায় এই বিপণী সংস্থা উৎপাদন ইউনিট খুলতে পারে। তাঁর দাবি, চলতি বছরের বড়দিনের আগেই নাকি বাংলায় উৎপাদন শুরু করবে এই সংস্থা। ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘টেম্পে গ্রুপো ইন্ডিটেক্স (জারা) বস্ত্র শিল্পে বড় উদ্যোগী। তারা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাটছঁড়া বেঁধে বাংলায় তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট তৈরি করতে পারে। ২০২৩ সালের বড়দিনের আগে তারা বাংলায় উৎপাদন শুরু করতে পারে।’’
আরও পড়ুন: ‘জওয়ান’ কংগ্রেস সরকারের দূর্নীতিকে তুলে ধরেছে! শাহরুখকে ধন্যবাদ বিজেপির
মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকই যায়। সবেমাত্র এই সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এখনও কোনও লিখিত কিছুই হয়নি, পুরোটাই আলোচনার টেবিলেই সীমাবদ্ধ। এদিকে বড়দিন বড়জোর ৩ মাস বাকি। এখানেই প্রশ্ন হল, এত দ্রুত রাজ্যের কোনও এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট সেট-আপ করে ৩ মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু করে দেওয়া আদৌ সম্ভব কি?
২০১৯ সালের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে ডাউন স্ট্রিম পলিমার অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি নামে একটা পর্ব ছিল। সেখানে প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অনেক সময় নষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নিট ফলাফল শূন্য ছিল। চার বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) স্পেন সফরে আচমকা ফিরে এল সেই প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ভর্তুকিতে ১০০ একর জমি পেলে, স্পেনের সংস্থা নাকি এরাজ্যে পিইউ কারখানা তৈরি করতে পারে। প্রশ্ন এখানেই— জমি দেবে রাজ্য! তারা তো জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে। আর যে জমি ল্যান্ড ব্যাঙ্কে রয়েছে, সেটা কতটা ব্যবহারযোগ্য, তা নিয়ে জোর সন্দেহ। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পটিও যে অশ্বডিম্ব প্রসব করতে, তা বলাই বাহুল্য।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।