বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে...
ছবি সংবাদ সংস্থার সৌজন্যে।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নববর্ষে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠল কাবুল (Kabul Blast)। সামরিক বিমানবন্দরের (Military Airfield) বাইরের ওই বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা প্রচুর। তবে বিস্ফোরণের অভিঘাতে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, আহতই বা কতজন, তা জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বিমানবন্দরের বাইরে একটি জায়গায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় ওই জায়গায় ছিলেন বহু মানুষ। বিস্ফোরণের অভিঘাতে তাঁদের অনেকেরই মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল নাফি বলেন, আজ সকালে কাবুলের সামরিক বিমানঘাঁটির কাছে একটি বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে আমাদের নাগরিকদের মৃত্যু ঘটেছে। অনেকে জখমও হয়েছেন। বিস্ফোরণের কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। তিনি জানান, বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে এখনও পর্যন্ত বিবৃতি দেয়নি কোনও জঙ্গি সংগঠন।
কাবুলের (Kabul Blast) ক্ষমতায় রয়েছে তালিবান সরকার। তালিবান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০২১ সালের অগাস্টে ক্ষমতায় ফেরার পর আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার পরেও ঘটে গিয়েছে কুড়িটিরও বেশি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। হামলাও হয়েছে প্রচুর। অনেকের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় গোষ্ঠীর হাত।
আরও পড়ুন: ‘মোদি বিশ্বের কণ্ঠস্বর, উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বর ভারত’, বললেন জয়শঙ্কর
চিনা নাগরিকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় কাবুলের লোঙ্গান হোটেলটি। গত ১২ ডিসম্বর ওই হোটেলে হামলা চালায় কয়েকজন বন্দুকবাজ। জখম হন অন্তত পাঁচজন চিনা ব্যবসায়ী। হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তালিবান বাহিনী। যদিও ততক্ষণাৎ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বাহিনী। সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস। তবে রবিবারের বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে এদিন বিকেল পর্যন্তও বিবৃতি দেয়নি কোনও গোষ্ঠী।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এদিন সকাল ৮টা নাগাদ বিস্ফোরণের (Kabul Blast) কান ফাটানো আওয়াজ শোনা যায়। ভয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে শুরু করে দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তালিবান বাহিনী। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। জানা গিয়েছে, সামরিক বিমানবন্দর এলাকা ছেড়ে কাউকে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। ঢুকতেও পারছেন না বাইরের কেউ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।