ঘানায় মৃত ওই দুই ব্যক্তির স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে সেনেগালের একটি ল্যাবে।
মারবার্গ ভাইরাস
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইবোলার (Ebola) পর এবার মারবার্গের (Marburg) আতঙ্ক আফ্রিকায় (Africa)। বুধবার ঘানাতে (Ghana) মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুজনের। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (WHO) জানিয়েছে, মারবার্গও ইবোলা ভাইরাসের মতোই মারাত্মক।
আরও পড়ুন: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র
ঘানার দুই ইবোলা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির উপসর্গ প্রায় একই রকম ছিল। ডাইরিয়া, জ্বর, গা গোলানো ও বমি এই সমস্ত উপসর্গ কমবেশি দুজনেরই ছিল। এগুলোকেই আপাতত মারবার্গের লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
ঘানায় মৃত ওই দুই ব্যক্তির স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে সেনেগালের একটি ল্যাবে। মারবার্গ ভাইরাসের কারণেই ওই মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে চাইছেন চিকিৎসকরা। সেক্ষেত্রে পশ্চিম আফ্রিকাতে মারবার্গের এটা দ্বিতীয় হানা বলেই ধরে নিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বছরে, মারবার্গের একটা কেস ধরা পড়েছিল গিনিয়াতে।
আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের
মারবার্গ ১৯৬৭ সালে পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল। ১৯৭৬ সালে প্রথম চিহ্নিত হয় ইবোলা। মারবার্গ ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। মারবার্গের সংক্রমণে মৃত্যুর হার ২৪ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার ভয় এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে আরও এক ভাইরাসের আতঙ্কে ত্র্যস্ত আফ্রিকা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মারবার্গ ভাইরাসে (Marburg Virus) আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে করোনার মতোই কিছু উপসর্গ মিলেছে। জ্বর, বমি এবং প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, এর অন্যতম উপসর্গ। এই প্রথম নয়, আগেও গুয়ানাতে মারবার্গ ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল।
মারবার্গ ভাইরাস রক্তক্ষরণজনিত জ্বর বয়ে আনে। এটি মারাত্মক সংক্রামক। ভাইরাসটি মানুষ ও প্রাণির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর উৎপত্তি ফল খাওয়া বাদুড় থেকে। এটি মানুষের শরীরেও ছড়াতে পারে। বিশেষ করে যৌন সংসর্গ ও চর্মরোগ থেকে মানুষের মাঝে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে প্রদাহের স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং জ্বর আসে। ইবোলা ভাইরাসের সবকটি লক্ষণ মারবার্গ ভাইরাসেও আছে। এ ভাইরাসে ভালোভাবে আক্রান্ত হলে সাধারণত কেউ বাঁচে না। তবে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসায় ফল দিতে পারে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ইবোলা ও মারবার্গ ভাইরাসের টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয় উগান্ডার কাম্পালায়। ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ শহরে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। পরে এটি ফ্রাঙ্কফুট ও যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেডেও দেখা পাওয়া গিয়েছিল। এই ভাইরাসের কোনও টিকা বা চিকিৎসা নেই।
Tags: