ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে জাপান উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তর্গত এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনেও...
চিনা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ানে (Taiwan) মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Naccy Pelosi) সফর ঘিরে ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের চারপাশে অন্ততঃপক্ষে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চিন (China)। চিনা ফৌজ পিপলস অফ লিবারেশন আর্মির (PLA) তরফে জানানো হয়েছে, সবকটি তাদের লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। জাপানও জানিয়েছে, পাঁচটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে তাদের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে (EEZ)। ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত জাপান উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তর্গত এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আছড়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?
মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পা রাখেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি গিয়েছেন জাপানে। তার পরে পরেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ২৭টি যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে চিন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাইওয়ানের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণে সব মিলিয়ে তারা ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের
স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের ওপর বেশ কয়েক দশক ধরেই নজর চিনের। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলেই মনে করে তারা। প্রয়োজনে জোরপূর্বক তাইওয়ানের দখল নিতেও তারা প্রস্তুত বলে আগে একাধিকবার জানিয়েছে চিন। এরই পাল্টা হিসেবে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। পঁচিশ বছর পরে মঙ্গলবার তাইওয়ান সফরে আসেন কোনও পদস্থ মার্কিন কর্তা। তার পর থেকেই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক সক্রিয়তা বাড়িয়েছে চিন।
এদিকে, জাপানের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রভাব পড়েছে জাপান এবং চিনের কূটনৈতিক সম্পর্কে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে আগে থেকে স্থির করা দু দেশের বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।