Bangladeshs Ratings: বাংলাদেশের অর্থনীতি তথৈবচ, কূল পাচ্ছেন না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদও! মুডিসের রেটিংয়ে প্রকাশ্যে বাংলাদেশের হাল, কী হল দেশটার?...
মুডিসের রেটিংয়ে ঠাঁই বদল বাংলাদেশের। প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladeshs Ratings) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ। এহেন আবহে প্রকাশ্যে এল আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডি’স-এর রিপোর্ট (Moody’s)। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান এবং সিনিয়র আনসিকিওরড রেটিংস ‘বি ১’ থেকে কমিয়ে ‘বি ২’ করেছে। স্বল্পমেয়াদি ঋণমান রেটিংসকে ‘নট প্রাইম’ বা ‘শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন নয়’ করা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস স্থিতিশীল থেকে কমিয়ে করা হয়েছে নেতিবাচক। এর আগে, গত মে মাসে বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে ‘বিএ৩’ থেকে ‘বি১’-এ নামিয়ে দেয় মুডি’স।
মুডি’স সোমবার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার ফলে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, যা রাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়িয়েছে এবং নিম্নতর প্রবৃদ্ধি তৈরি করেছে। এর ফলে সরকারি অস্থিরতার ঝুঁকি, বৈশ্বিক ভঙ্গুরতা এবং ব্যাঙ্কিং খাতের ঝুঁকি বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী এই রেটিং সংস্থা জানিয়েছে, চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং দুর্বল প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে তার ঘাটতি পূরণের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে স্বল্পমেয়াদি অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য করছে, যা আদতে বাড়াচ্ছে লিক্যুইডিটি ঝুঁকি।
মুডি’স (Moodys) জানিয়েছে, সম্পদের গুণগত মানের ওপর উচ্চ ঝুঁকি ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় কাঠামোগতভাবে দুর্বল মূলধন ও লিক্যুইডিটিকে আরও জোরদার করে, সার্বভৌম সরকারের জন্য সম্ভাব্য দায়বদ্ধতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উন্নত রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ বিতরণ করা সত্ত্বেও, গত কয়েক বছরে মজুত অর্থ ধারাবাহিকভাবে কমে যাওয়ায় বহিরাগত ঝুঁকি দুর্বল রয়ে গিয়েছে।
উচ্চ সামাজিক ঝুঁকি, একটি সুস্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপের অভাব, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক উত্তেজনার পুনরুত্থান রাজনৈতিক ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মুডি’স জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে আরও নীচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এটি দেশের দুর্বল আর্থিক অবস্থাকে আরও চাপের মুখে ফেলতে পারে, বাড়িয়ে তুলতে পারে বহিরাগত ঝুঁকি।
আরও পড়ুন: ‘‘এক দশকে দেশের ২৫ কোটি মানুষের দারিদ্রতা দূর করা গিয়েছে’’, জি২০ সম্মেলনে বললেন মোদি
এই ঝুঁকিগুলি তৈরি হয়েছে দুর্বল দেশীয় চাহিদা এবং সাম্প্রতিক প্রতিবাদ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সরবরাহে বাধা থেকে। এটি রফতানি সম্ভাবনা অনিশ্চিত করে তুলছে, নষ্ট করছে রেডিমেড পোশাক ক্ষেত্রের সম্ভাবনাকে। মুডি’স এও জানিয়েছে, যদিও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিস্তৃত সংস্কার অ্যাজেন্ডার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবুও তার বাস্তবায়ন ক্ষমতা অনিশ্চিত রয়ে গিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও উচ্চ বেকারত্ব (Bangladeshs Ratings) মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে দুর্বল হয়ে পড়বে বাংলাদেশের (Moodys) রাজনৈতিক ভিত্তি। তাতে বিপদ বাড়বে বই কমবে না!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।