img

Follow us on

Thursday, Sep 19, 2024

Nepal’s Communists: ‘সেকুলার’ শব্দ হিন্দু ধর্মকে আক্রমণের লাইসেন্স দেয় না, মত নেপালের কমিউনিস্টদের 

Secularism: ‘সেকুলার’ শব্দের অপব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত হচ্ছে হিন্দু বিরোধী কাজ, সরব নেপালের কমিউনিস্টরা

img

নেপালের প্রধানমন্ত্রী দাহাল গত বছরে উজ্জ্বয়নীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে পরিদর্শন করেছিলেন (সংগৃহীত ছবি)

  2024-07-12 11:44:01

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশিরভাগ ভারতীয়র কাছে আশ্চর্যজনক হলেও এটা সত্য যে নেপালের (Nepal’s Communists) বৃহত্তম কমিউনিস্ট পার্টি ইউনিফায়েড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী প্রায় নয় বছর আগে সেদেশের নতুন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দের অপব্যবহার ও ভুল ব্যাখ্যার জন্য যথেষ্ট চিন্তিত। এনিয়ে সরব হয়েছেন সেদেশের একাধিক কমিউনিস্ট নেতাও। ভারতের মতো নেপালেও সাংবিধানিক ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অপব্যবহার করার  অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে খ্রিস্টান মিশনারী এবং ইসলাম ধর্মের প্রচারকদের বিরুদ্ধে। বিপুল সংখ্যক সে দেশের হিন্দুকে খ্রিস্টান ও ইসলামে ধর্মান্তরিত (Secularism) করা হচ্ছে শুধুমাত্র সাংবিধানিকভাবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দের ভুল ব্যাখ্যা এবং অপব্যবহারের মাধ্যমে। নেপালের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দকে অপব্যবহার করা হচ্ছে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মকে আক্রমণ করা ও খাটো করার উদ্দেশে। এমনিতে সে দেশের অ-কমিউনিস্ট দলগুলি প্রায় সরব হয়ে থাকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দের অপব্যবহারের জন্য। এই দাবিতে তারা আন্দোলনও করেছে। যেমন, নেপালের রাজনৈতিক দল 'রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি' ইতিমধ্যে দাবি তুলেছে যে নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্রের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। আশ্চর্যজনকভাবে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারাও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।

কী বলছেন শীর্ষ কমিউনিস্ট নেতা (Nepal’s Communists) প্রদীপ গিয়াওয়ালি?

সে দেশের অন্যতম শীর্ষ কমিউনিস্ট নেতা প্রদীপ গিয়াওয়ালি একটি নেপালি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মতই তুলে ধরেছেন। গিয়াওয়ালি তাঁর সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সমাজের একটা অংশ সর্বদাই সচেষ্ট রয়েছে সংবিধানের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটিকে কিভাবে অপব্যবহার করা যায়। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতার (Nepal’s Communists) এমন মন্তব্যে ভারতের বামপন্থী তথা লিবারেলরা যে ঘাবড়ে যাবেন তা বলাই যায়। গিয়াওয়ালি আরও বলেছেন, ‘‘কিছু লোক ধর্মনিরপেক্ষতাকে ব্যবহার করছে শুধুমাত্র ধর্মান্তরিত করার জন্যই। ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ আজকে লাইসেন্স হয়ে গিয়েছে অন্য ধর্মের লোককে আরেকটি ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য।’’

ভারতবর্ষের কমিউনিস্টদের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য হল হিন্দু সংস্কৃতির বিরোধিতা

ভারতবর্ষের কমিউনিস্টদের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য হল হিন্দু সংস্কৃতির বিরোধিতা এবং এক্ষেত্রে তাঁরা চোখ-কান-নাক মুখ বুজে থাকেন। যখন হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ হয় অথবা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খ্রিস্টান বা ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয় তখনও নিশ্চুপ থাকেন এদেশের কমিউনিস্টরা। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের কাছ থেকে কি এবার শিক্ষা নিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা তাঁদের লাইন চেঞ্জ করবেন? এমন প্রশ্ন উঠছে।

নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির আর এক শীর্ষ নেতা ঈশ্বর পোখারেল কী বলছেন?

নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির আর এক শীর্ষ নেতা ঈশ্বর পোখারেল তিনিও তাঁর সহকর্মী গিয়াওয়ালির মতামতকে ১০০ শতাংশ সমর্থন করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ধর্মান্তকরণ রোধ করার জন্য নতুন শক্তিশালী আইন আনা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, নেপালে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ আসছে যে খ্রিস্টান মিশনারীরা এবং ইসলামিক ধর্ম প্রচারকরা হিন্দুদের ব্যাপকভাবে ধর্মান্তরিতকরণ করছেন। ঈশ্বর পোখারেলের কথাতেও উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গই। তিনি জানিয়েছেন, খ্রিস্টান মিশনারীরা ধর্মনিরপেক্ষতার অপব্যবহার করে বড়সড় ধর্মান্তকরণের ফাঁদ পাতা হয়েছে সারা নেপালজুড়ে। এক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহার করছেন মানুষের দারিদ্রতা-অসচ্ছলতাকে। এটা যে কোনও মূল্যে বন্ধ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন ঈশ্বর। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান সাংসদ জনার্দন শর্মা তিনি এ বিষয়ে বলেন,‘‘বড় আকারের ধর্মান্তকরণ চলছে নেপালজুড়ে। বিশেষ করে খ্রিস্টান ধর্মে। এর ফলে এক সামাজিক বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।’’

একই মত উঠে এসেছে, নেপালি কংগ্রেসের কাছ থেকেও

একই মত উঠে এসেছে, নেপালি কংগ্রেসের কাছ থেকেও। সে দেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখর কৈরালা জানিয়েছেন, সনাতন ধর্মকে খাটো করার প্রয়াস চলছে ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে। অর্জুন প্রসাদ জোশি নামের অপর এক নেপালি কংগ্রেসের নেতা জানিয়েছেন ধর্মনিরপেক্ষতার (Secularism) ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হচ্ছে নেপালে। এই আবহে রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি ফের একবার দাবি তুলেছে যে সংবিধান থেকে সেকুলার শব্দকে হটিয়ে দেওয়া হোক এবং হিন্দু রাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠা করা হোক।

ভারত সফরের সময়ও নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা মন্দির পরিদর্শন করেন

ভারত সফরের সময়ও নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (Nepal’s Communists) নেতাদের মন্দির পরিদর্শন এবং পূজা দিতে দেখা যায়। নেপালের প্রধানমন্ত্রী দাহাল গত বছরের মে মাসে ভারত সফরে এসেছিলেন এবং সে সময় উজ্জ্বয়নীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে পরিদর্শন করেছিলেন। কিন্তু ভারতের কমিউনিস্টদের কাছে মন্দির পরিদর্শন যেন খুব বড় অপরাধ হয়ে যায়। হিন্দু সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করাটা, তাঁদের পার্টির শোকজের কারণ হয়। অনেক আগে সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তী তারাপীঠ মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন এবং এর পরে কী ঘটনা ঘটেছিল তা আমরা সকলেই জানি। সে সময় গোটা কমিউনিস্ট পার্টি সুভাষ চক্রবর্তীর এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নেমেছিল। ভারতবর্ষের কমিউনিস্টদের কখনও মন্দিরে যেতে বা হিন্দুদের কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা যায় না। শুধুমাত্র তাই নয়, তাঁদের দলের সম্মেলন যখন শুরু হয় তখন ভারতের কমিউনিস্টরা প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধনটাও করেন না। কারণ হিসেবে তাঁরা মনে করেন, হিন্দু সংস্কৃতির প্রতিফলন হয় প্রদীপে। তবে কমিউনিস্ট নেতা হয়েও আব্দুল রেজ্জাক মোল্লা হজ করতে যেতেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Nepal’s Communists

Secularism

Attack on Sanatan Dharma Nepal

Communist party Of India


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর