আমার সামনে যা যা চ্যালেঞ্জ রয়েছে...
বিদায় নিচ্ছেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন লেবার পার্টির (Labour Party) নেতা ক্রিস হিপকিন্স (Chris Hipkins)। গত সপ্তাহেই জাসিন্ডা আর্ডের্ন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো মঙ্গলবার তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন। তার পর বুধবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ক্রিস হিপকিন্স। তিনি হলেন নিউজল্যান্ডের ৪১তম প্রধানমন্ত্রী। নিউজিল্যান্ডের গভর্নর জেনারেল সিন্ডি কিরো নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হিপকিন্সকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ নিয়ে নয়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার সত্যিই আমি প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছি। এটা আমার জীবনের সব থেকে বড় সুযোগ এবং দায়িত্ব। আগামিদিনে আমার সামনে যা যা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার সম্মুখীন হতে আমি প্রস্তুত।
এদিকে, বুধবার আর্ডের্নকে পার্লামেন্ট (New Zealand) ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়। দর্শক, সাংসদ এবং পার্লামেন্টের কর্মীরা হাততালি দিয়ে তাঁকে বিদায় জানান। মঙ্গলবার হিপকিন্সের সঙ্গে আর্ডের্ন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষবারের মতো মাওরি নামের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় আমি মানুষের প্রচুর ভালবাসা, দয়া, প্রীতি ও শুভেচ্ছা পেয়েছি। এত বছর ধরে এই ভূমিকায় কাজ করতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। যাঁরা আমার বিদায়কে নঞর্থক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করছেন, তাঁদের আমি ঘৃণা করি। হিপকিন্সকে উপদেশও দিয়েছেন তিনি। বলেন, তুমিই কর, তুমি। নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা এখন তাঁর সময়। নিজের জায়গা খুঁজে নেওয়ার জন্য এটাই তাঁর সময়। তিনি তাঁর নিজের মতোই নেতা হোন। তাঁকে দেওয়ার মতো কোনও উপদেশ আমার নেই। আমি তাঁকে কেবল তথ্য দিতে পারি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি আমার অভিজ্ঞতা তাঁর সঙ্গে শেয়ার করতে পারি। কিন্তু এটা এখন তাঁর সময়। আর্ডের্ন বলেন, আমি এখন পিছনের সারির সাংসদ হতে প্রস্তুত। আমি মা এবং বোন হতেও প্রস্তুত।
আরও পড়ুুন: মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘ভীষণভাবে একপেশে’, বিবিসিকে চিঠি দিলেন ব্রিটেনের সাংসদ
প্রসঙ্গত, আর্ডের্ন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর শাসক দল লেবার পার্টির তরফে রবিবারই হিপকিন্সকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। করোনা অতিমারির সয়ম তিনি ছিলেন কোভিড রেসপন্স ও পুলিশ মন্ত্রী। করোনা মন্ত্রী হিসেবে তাঁর কাজ উচ্চ প্রশংসিত হয়। শপথ নেওয়ার পর বছর চুয়াল্লিশের প্রধানমন্ত্রী হিপকিন্স জানান, দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্যেই কাজ করবেন তিনি। করোনার সময় অর্থনীতিতে যে মন্দা ও মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, তা সামাল দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পুরানো অবস্থায় ফিরিয়ে আনাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।