img

Follow us on

Monday, Sep 16, 2024

Disease X: করোনার থেকে ৭ গুণ বেশি প্রাণঘাতী মহামারি! কী এই ‘ডিজিজ এক্স’, যা নিয়ে চিন্তিত ‘হু’

কোটি কোটি প্রাণহানির আশঙ্কা! ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় ব্রিটেনের গবেষকরা

img

নয়া ভাইরাসের মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা।

  2023-09-26 20:47:33

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের (Covid-19) থেকেও প্রায় ৭ গুণ প্রাণঘাতী ভাইরাস হানা দিতে পারে। সতর্কতা জারি করা হল ব্রিটেনের (Britain) স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তরফে। ভাইরাসকে ‘ডিজিজ এক্স’ বলে সম্মোধন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। করোনার জেরে যেভাবে গোটা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়, ‘ডিজিজ এক্স’-এর থাবায় তার চতুর্গুণ মৃত্যু এবং ভয়াবহতা মানুষ দেখতে পারে বলেও সতর্ক করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। 

কেমন এই ভাইরাসের প্রকৃতি

২০২০ সালে ছড়ায় কোভিড-১৯।  যা গোটা বিশ্ব জুড়ে ৭০ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডেম কেট বিংহাম সম্প্রতি জানিয়েছেন, আরও বড় মহামারী প্রত্যক্ষ করতে হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। আর এর জন্য গোটা বিশ্বের কমপক্ষে পাঁচ কোটি মানুষের প্রাণ যেতে পারে। এই সম্ভাব্য মহামারির নাম দেওয়া হয়েছে 'ডিজিজ এক্স'। ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে যে মারণ স্প্যানিস ফ্লু ছড়িয়েছিল, এবার তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাইরাসকে এক্স বলে সম্মোধন করা হয়েছে।

‘ডিজিজ এক্স’ কথার অর্থ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ‘ডিজিজ এক্স’ কথাটির অর্থ হল, এমন একটি রোগ, যা অতিমারি ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সেই রোগটির প্যাথোজেন কী ভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তা এখনও অজানা। ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (ইউকেএইচএসএ) প্রধান প্রফেসর ডেম জেনি হ্যারিস বলেন, ‘‘বিজ্ঞানীরা আপাতত ২৫টি ভাইরাসের পরিবারকে পর্যবেক্ষণ করছেন, যার প্রতিটিতে হাজার হাজার পৃথক ভাইরাস রয়েছে। এদের মধ্যে যে কোনও একটি মারাত্মক অতিমারিতে রূপান্তরিত হতে পারে।’’ 

আরও পড়ুন: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

ভ্যাকসিন তৈরির প্রয়াস

ডেম আরও বলেন,  "আমরা এখানে আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি যদি নতুন ডিজিজ এক্স বা একটি নতুন প্যাথোজেন পাওয়া যায় তাহলে তা মোকাবিলার জন্য অগ্রিম কাজ করে রাখছি। তিনি আরও বলেন, আশা করি আমরা এই নতুন মহামারিটি  প্রতিরোধ করতে পারব। কিন্তু যদি আমরা না পারি সেকারণে আমরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন এবং থেরাপিউটিকস তৈরি করতে শুরু করেছি।" এই গবেষণার কাজে ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী জড়িত আছেন। এই বিজ্ঞানীরা মূলত অ্যানিমাল ভাইরাস অর্থাৎ, যে ভাইরাস পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে অতিমারি সৃষ্টি করতে পারে সেইগুলির উপরেই কাজ করছেন। এর মধ্যে বার্ড ফ্লু, মাঙ্কি ভাইরাস, হান্টা ভাইরাস অন্যতম।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

pandemic

Britain

bangla news

disease

Disease X


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর