Nobel Prize 2024: এআইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী, কিন্তু শঙ্কিত নোবেলজয়ী হিন্টন ও হপফিল্ড
পদার্থ বিদ্যায় নোবেলজয়ী জন হপফিল্ড ও জেফারি হিন্টন। ছবি: ট্যুইটার
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণার জন্য চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল (Nobel Prize in Physics) পেলেন জন হপফিল্ড (John Hopfield) ও জেফারি হিন্টন (Geoffrey Hinton)। হপফিল্ড আমেরিকার। হিন্টন ব্রিটিশ-কানাডিয়ান। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন তিনি। আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করেন হপফিল্ড।
BREAKING NEWS
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 8, 2024
The Royal Swedish Academy of Sciences has decided to award the 2024 #NobelPrize in Physics to John J. Hopfield and Geoffrey E. Hinton “for foundational discoveries and inventions that enable machine learning with artificial neural networks.” pic.twitter.com/94LT8opG79
নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, জন ও হিন্টন জুটি ফিজিক্সের মাধ্যমে এমন উপায় তৈরি করেছেন, যা বর্তমান যুগের শক্তিশালী মেশিন লার্নিংয়ের ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের (Royal Swedish Academy of Sciences) নোবেল কমিটির সদস্য ইলেন মুনস জানান, তাঁরা ‘আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক’ (মেশিন লার্নিংয়ের মডেল, যা মস্তিষ্কের স্নায়ুর মতো কাজ করে থাকে) তৈরি করেছেন। ফেসিয়াল রেকগনিজেশন (মুখ চেনা) বা ভাষা অনুবাদের মতো কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেই ‘আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক’ তৈরি করতে তাঁরা পরিসংখ্যানগত পদার্থবিদ্যার মৌলিক ধারণাকে কাজে লাগিয়েছেন। হপফিল্ড এমন এক ধরনের মেমরি তৈরি করেছেন, যা ছবি এবং অন্যান্য ডেটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। সেগুলিকে নতুনভাবে তৈরি করতেও সক্ষম।
”I’m still somewhat in shock.”
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 8, 2024
In this interview recorded shortly after the announcement, 2024 physics laureate John Hopfield talks about how he found out about the prize when he was going through his e-mails. ”It didn't sink it until I got to the fourth e-mail!”#NobelPrize pic.twitter.com/9U1xjovLYk
হিন্টন আগে গুগ্লে কাজ করতেন। ২০২৩ সালে চাকরি ছেড়ে গবেষণায় মন দেন। এআইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হিন্টন। তাঁর কথায়, ‘‘আজকের দিনে এআইয়ের এই প্রসারকে সে যুগের শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করলেও ভুল হবে না। শুধু তফাতটা হল, সে সময় শারীরিক কর্মক্ষমতায় মানুষকে ছাপিয়ে গিয়েছিল যন্ত্র। আর এখন ছাপিয়ে যাবে বুদ্ধিমত্তাতেও।’’ তবু কোথাও যেন উঁকি দিয়ে যায় আশঙ্কাও, হিন্টন বলে চলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, শীঘ্রই মানুষকে হারিয়ে দেবে কম্পিউটার। আর প্রযুক্তি কখনও কখনও অভিশাপও হয়ে উঠতে পারে!’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।