উত্তর কোরিয়ার সীমারেখা পড়েছে সাগরের মাঝ বরাবর। তবে উত্তর কোরিয়া কখনওই এ সীমারেখাকে মেনে নেয়নি...
প্রথম পরস্পরের বিরুদ্ধে মিসাইল দাগল উওর ও দক্ষিণ কোরিয়া
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমান্তে মিসাইল ছুড়েছে কিম জং-উনের দেশে উত্তর কোরিয়া। জবাবে তিনটি মিসাইল ছুড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাকর্তা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার মিসাইলগুলি দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার খুব কাছে পড়েছে যা দক্ষিণ কোরিয়ার অখন্ডতার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী তা কখনোই বরদাস্ত করবে না বলে সাফ জানিয়েছেন।
এদিকে, সিওলের প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল (Yoon Suk-yeol) একে কার্যকর আঞ্চলিক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন। উত্তর কোরিয়ার ১০টি মিসাইলের মধ্যে তিনটি মিসাইল স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল যা উত্তর কোরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল ওনসান থেকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
#UPDATE North Korea fired more than 20 missiles on Wednesday, including one that landed close to South Korea's waters in what President Yoon Suk-yeol said was effectively "a territorial invasion by a missile" ▶️ https://t.co/Id9qybPjV2#AFPgraphics pic.twitter.com/WqAjWfVXJr
— AFP News Agency (@AFP) November 2, 2022
এর মধ্যে অন্তত একটি বুধবার নয়টার আগে নিক্ষেপ করা হয় যা সীমান্তের ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে, সোচো শহরের ৫৭ কিলোমিটার পূর্ব দিকে এবং উলিয়াং দ্বীপের ১৬৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আঘাত হানে। এর ফলে উলিয়াং এ সাইরেন বাজিয়ে অধিবাসীদের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারগুলোতে আশ্রয় নিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার সীমারেখা পড়েছে সাগরের মাঝ বরাবর। তবে উত্তর কোরিয়া কখনওই এ সীমারেখাকে মেনে নেয়নি। এর আগে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিল, যে তারা যদি যৌথ সামরিক মহড়া অব্যাহত রাখে তাহলে তাদেরকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন মূল্য দিতে হবে’। এ হুমকিকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রচ্ছন্ন হুমকি হিসেবে দেখা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রমণ হলে তারা সেক্ষেত্রে মার্কিন সহযোগিতাও পাবে। উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠক ডেকেছেন।
চলতি বছরেই পঞ্চাশটির বেশি মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জাপান অতিক্রম করে গিয়ে পড়েছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে এসেছে দু দেশের সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে। গত অগাস্ট মাসে এই মহড়া শুরু হয়েছে।