Israel Situation: জঙ্গি হামলার জবাবে গাজায় অভিযান ইজরায়েলি বায়ুসেনার...
ইজরায়েলে জঙ্গি হামলা। (ছবি-সংগ্রহীত)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে (Israel Hamas War) মৃত্যুর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১১০০ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা আরও কয়েক হাজার বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের ওপর হামাসের হামলার পরই যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ৫০ বছর পর এই প্রথম কোনও সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করল তেল আভিভ।
শনিবার ভোর ৬টা (স্থানীয় সময়)। গাজা থেকে ইজরায়েলের দিকে ধেয়ে আসে মুহুর্মুহু রকেট। ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয় ইজরায়েলের ওপর। শুধু রকেট হামলাই নয়, প্যারাগ্লাইডারে চেপে সীমান্ত পেরিয়ে ইজরায়েলে ঢুকে শয়ে-শয়ে হামাস জঙ্গি। হামলা চালানো হয় সমুদ্রপথেও (Israel Hamas War)। তেল আভিভের রাস্তা কোথাও রকেট হানায় জ্বলছে, তো কোথাও জঙ্গিরা অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নির্বিচারে ঘরে ঢুকে নিরীহ বাসিন্দাদের মারা থেকে শুরু করে ইজরায়েলিজের অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে হামাসের বিরুদ্ধে (Israel Situation)। এই সংক্রান্ত বহু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও মাধ্যম সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের শীর্ষনেতা ইসমাইল হানিয়ে। গোষ্ঠীর তরফে এই হামলাকে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ইজরায়েলের পাশে ভারত’, বার্তা মোদির
ইজরায়েল জানিয়েছে, সীমান্তের কাছে একটি মিউজিক ফেস্টিভ্যাল চলছিল। সেখানে আচমকা হামলা চালিয়ে অন্তত ২৬০ জনকে নির্বিচারে হত্যা করেছে হামাস জঙ্গিরা। হামলার পর পরই প্রাথমিকভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা (Israel Hamas War) করে ইজরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, হামাসের হামলায় এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলে মৃত্যু হয়েছে ৭০০-র বেশি। ইজরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৩৬ ঘণ্টায় জঙ্গি মোকাবিলায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বহু সেনা ও পুলিশকর্মী। হাসপাতালে ২ হাজারের বেশি আহতের চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা সঙ্কটজনক। ইজলায়েলের শতাধিক সাধারণ নাগরিক ও সেনাকর্মীকেও হামাস অপহরণ করে বন্দি করেছে বলে দাবি তেল আভিভের (Israel Situation)। ইজরায়েলের সেনা মুখপাত্র এই ঘটনাকে ভারতের ৯/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের ৯/১১। হামাস আমাদের সামরিক প্রতিষ্ঠানে হামলার করার সাহস দেখায়নি। ওরা সাধারণ নাগরিক, বয়স্ক, শিশুদের হত্যা করেছে।’’
এর পর রবিবার সরকারিভাবে যুদ্ধ ঘোষণা (Israel Hamas War) করে তেল আভিভ। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তার আগে, এই মর্মে ভোটদানের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা। প্রায় ৫০ বছর পর সরাসরি কোনও যুদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল। নেতাহিয়াহু একটি বার্তায় হামলাকে ইজরায়েলের কালো দিন হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিজ্ঞা করেন, এর জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘হামাসকে ধ্বংস করতে সর্বশক্তি লাগিয়ে দেবে ইজরায়েল সেনা।’’ সরকারিস্তরে যুদ্ধ ঘোষণা (Israel Situation) হতেই হামাস পরিচালিত গাজায় হামাসের ঘাঁটিতে জবাবি ‘লৌহ তলোয়ার’ অভিযান চালায় ইজরায়েলি বায়ুসেনা, স্থলসেনা। ইজরায়েলি জবাবে কার্যত ধ্বংস্তূপে পরিণত গাজার একাংশ। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ইজরায়েলি হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে।
এদিকে, হামাসের হামলায় ইজরায়েলে নিহত হয়েছেন বহু মার্কিন নাগরিকও। এই ঘটনার পরই নড়চড়ে বসেছে ওয়াশিংটন। রবিবারই ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাসকে ‘শিক্ষা’ দিতে ও ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে রণতরীর একটি বিশাল ফ্লিট পাঠালো পেন্টাগন (Israel Hamas War)। জানা গিয়েছে, ওই ফ্লিটে একটি বিমানবাহীন রণতরী রয়েছে। এছাড়া রয়েছে শক্তিশালী গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও গাইডেড মিসাইল ক্রুজার। এর পাশাপাশি, সন্ত্রাসী হামলায় হামাসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবানেনের জঙ্গিগোষ্ঠী হেজবোল্লাও। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে মধ্য প্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।