তাইওয়ানের জলসীমা অভিমুখে রওনা দেয় চার মার্কিন রণতরী...
তাইওয়ানে মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ছবি: সংবাদ সংস্থা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়িটিওর বেশি যুদ্ধ বিমান (Fighter Jet) উড়ে গেল তাইওয়ান (Taiwan) এয়ার ডিফেন্স জোনের দিকে। মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পা রাখেন তাইওয়ানে। তার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধ-সাজ।
ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের
এহেন আবহে তাওয়ানে পা রাখেন ন্যান্সি। তার পরেই উড়ে যায় চিনা যুদ্ধ বিমান।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ট্যুইটবার্তায় জানিয়েওছেন সে কথা। পশ্চিমী কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান শুরু করতে চলেছে শি জিনপিংয়ের সরকার।
এদিকে একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে তাইপেই বিমানবন্দরে পেলোসি ও তাঁর সঙ্গীদের স্বাগত জানাচ্ছেন তাই-সরকারের প্রতিনিধিরা। তাইওয়ানে পা রাখার পর একগুচ্ছ ট্যুইট করেন পেলোসি। লেখেন, তাইওয়ানের মজবুত গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও সমর্থন জানাতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমাদের প্রতিনিধি দলের এই সফর। মুক্ত ও উদার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গঠনের লক্ষ্যে তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন জানাতেই তাদের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করব আমরা। এদিকে, পেলোসির সফরের আগে তাইওয়ানের জলসীমা অভিমুখে রওনা দেয় চার মার্কিন রণতরী।এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগনও।
তাইওয়ান-চিনের বিবাদ বহু পুরানো। চিন তাইওয়ানকে তার প্রদেশ বলে মনে করে। আর তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন একটি দেশ বলে মনে করে। চিনের মূল ভূখণ্ডে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি ও কুওমিনতাঙের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। ১৯৪০ সালে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্ব কমিউনিস্টরা কুওমিনতাংকে পরাস্ত করে। এর পরেই কুওমিনতাঙের অনুগামীরা চলে আসেন তাইওয়ানে। ওই বছরই চিনের নামকরণ করা হয় পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না। আর তাইওয়ানের নাম হয় রিপাবলিক অফ চায়না। এর পর তাইওয়ানের নিজস্ব সরকার গঠিত হয়। তৈরি হয় সংবিধানও। বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে।
তাইওয়ানের শাসক দল ডেমক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির সাংসদ ওয়াং টিংউ বলেন, কে তাইওয়ান আসবে আর আমেরিকা কীভাবে তাইওয়ানের সঙ্গে আচরণ করবে, তা বেজিং ঠিক করতে পারে না।
আরও পড়ুন : ভারতে আছড়ে পড়তে চলেছে চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ! দাবি মার্কিন সংস্থার