মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার চলছে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন (Pakistan Election)। সে দেশের রাজনৈতিক হানাহানি, অর্থনৈতিক সংকটের মাঝে এই ভোট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গেই চারটি প্রদেশের অ্যাসেম্বলি নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। মোট ৪৪টি দল দেশের সাধারণ নির্বাচন অংশগ্রহণ করছে। জানা গিয়েছে, মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৫,১২১। অন্যদিকে চারটি রাজ্যের অ্যাসেম্বলি ভোটে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬৯৫। পাকিস্তানের নির্বাচনে (Pakistan Election) ৯০ হাজার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সকাল ৮ থেকেই ভোট গ্রহণ চলছে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ। অন্যদিকে, এই নির্বাচনে পাকিস্তানের সমস্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
মোতায়েন ৬ লাখ ৫০ হাজার সেনা
ভোটের দিন যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য মোতায়ন করা হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার সেনা এবং পুলিশকর্মী। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। প্রাথমিকভাবে লড়াই হবে সে দেশের জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সঙ্গে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে নির্বাচনের সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল ইমরান খানের দল। কিন্তু এই দলের স্বীকৃতি বাতিল করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন (Pakistan Election) কমিশন। তাই তাদের প্রার্থীরা নির্দল হিসেবে ভোটের ময়দানে রয়েছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও ভোট পরবর্তী সময়ে বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ সে দেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানি সেনা বরাবরই হস্তক্ষেপ করে। যদিও পাকিস্তানি সেনা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা রাজনীতিতে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবে না।
মোট আসন ৩৩৬
বিগত বছরগুলিতে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা যেমন দেখা গিয়েছে তেমনই জঙ্গি হামলাতে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। আবার অর্থনৈতিক সংকটে সে দেশের মানুষকে রাস্তায় নামতেও দেখা গিয়েছে। পাকিস্তানের (Pakistan Election) সংসদে মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬। তার মধ্যে ভোট হবে ২৬৬ আসনে। বাকি ৭০ আসন মহিলা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে বলে জানা গিয়েছে। ৭০ আসনের মধ্যে মহিলাদের জন্য ৬০টি এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি আসন থাকে। এই ৭০টি আসন অবশ্য সরকার গঠনে কোনওরকম ভূমিকা পালন করে না। তাই ২৬৬টি আসনের মধ্যে যারা ১৩৪ আসন জিতবে, তারাই সে দেশের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours