ইসলামাবাদের বক্তব্য যে মিথ্যে...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশবাসীর খাবার বাড়ন্ত। তাও সমরাস্ত্র সরঞ্জাম কেনায় খামতি নেই ভারতেরই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের (Pakistan)।এবার উঠে এল বিস্ফোরক এক তথ্য। ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করছে সে দেশেরই জঙ্গি গোষ্ঠী দাওয়াত-ই-ইসলামি (Dawat_e_Islami)। ভারতীয় মুসলমানদের কাছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর ভাবধারা সঞ্চারিত করতেই গত আট বছর ধরে এ কাজ করছে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা দাওয়াত-ই-ইসলামি। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে একথা জানান সাইবার বিশেষজ্ঞ জিতেন জৈন। তিনি বলেন, ভারতে গুপ্তচর বৃত্তি করতে এবং যুদ্ধাস্ত্র সম্পর্কে খোঁজখবর দিতেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেছে শাহবাজ শরিফের দেশ।
সম্প্রতি দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami) কাজকর্মের ওপর সমীক্ষা করে একটি সাংবাদ মাধ্যম। সেই তথ্য তুলে ধরে জিতেন জানান, গত আট বছরে পাকিস্তান প্রযুক্তি খাতে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। পাকিস্তান ভিত্তিক ওই জঙ্গি গোষ্ঠী এটা করেছে ভারতে গোয়েন্দাগিরি করার জন্য।
কেন এ কাজ করল দাওয়াত-ই-ইসলামি (Dawat_e_Islami)? জানা গিয়েছে, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের মধ্যে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর এজেন্ডা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই বিপুল পরিমাণ টাকা লগ্নি করেছে দাওয়াত-ই-ইসলামি।
আরও পড়ুন : নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার আগে পিএফআইকে প্রকাশ্যে সমর্থন পাকিস্তান দূতাবাসের
কিছুদিন আগেই রাজস্থানের উদয়পুরে মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় পেশায় দর্জি কানহাইয়া লালের। যে দুই খুনি নৃশংস এই কাজ করেছিল, তারা দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami) ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওই কাজ করেছে বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার পরে পরে পাকিস্তানের ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম উঠে এলেও, অস্বীকার করেছিল ইসলামাবাদ। তবে ইসলামাবাদের বক্তব্য যে মিথ্যে, তা জানা গিয়েছে ওই সংবাদ মাধ্যমের সমীক্ষায়ই।
দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami) ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের খবর দেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কানাডা, হংকং, কোরিয়া, ব্রিটেন এবং আমেরিকায় ওই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। ভারতে হয় না। তবে এ দেশের মুসলমানদের একটা অংশ ঘুরপথে তার খবর পেয়ে যায়। ফলে লক্ষ্য পূরণ হয় দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।