ঋণ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরম আর্থিক সংকটে ভারতের (India) আরও এক প্রতিবেশী দেশ, পাকিস্তান (Pakistan)। গত কয়েক মাস ধরে গভীর আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে শাহবাজ শরিফের দেশ। ঋণ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) কড়া শর্ত দিয়েছে ইসলামাবাদকে। যা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছে শাহবাজ শরিফ সরকার। কারণ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় তলানিতে। এমতাবস্থায় পাকিস্তানের সামনে ঋণ খেলাপির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অন্তত এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আমেরিকার নিউইয়র্ক-ভিত্তিক বৈশ্বিক রেটিং সংস্থা ফিচ। শ্রীলঙ্কার পরে এবার দেউলিয়া হওয়ার মুখে ইসালামাবাদ।
ফিচ-এর পক্ষ থেকে পাকিস্তানের (Pakistan) দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ খেলাপির রেটিং সিসিসি+ কমিয়ে সিসিসি-। এর অর্থ হল, এতদিন যদিও বা ইসলামাবাদের পক্ষে বৈদেশিক ঋণ শোধ করার সামান্য সম্ভাবনা ছিল, এখন তাও আর দেখা যাচ্ছে না। ফিচ জানিয়েছে, আমাদের আশঙ্কা পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার নিম্নস্তরেই থাকবে। যদিও আমরা প্রত্যাশিত বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ ও সম্প্রতি এক্সচেঞ্জ রেট ক্যাপ অপসারণের ফলে ২০২৩ অর্থবর্ষের বাকি সময়ে পরিমিত হারে পাকিস্তানের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের পূর্বাভাসও দিয়েছি। নিউইয়র্ক-ভিত্তিক এই সংস্থার আশা, আইএমএফ প্রোগ্রামের নবম পর্যালোচনার পর তাদের শর্ত পূরণে সফল হবে পাকিস্তান। যদিও তার পরেও ফিচ জানিয়েছে, আমাদের মতে পাকিস্তানের ঋণ খেলাপির সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।
আরও পড়ুুন: দেশের হাল বদলাতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে, জানেন কী কী?
ঋণ খেলাপির অর্থ হল, পাকিস্তান (Pakistan) তাদের বাণিজ্যিক ঋণ আংশিকভাবে বা পুরোটাই শোধ করতে পারবে না। যদিও ইসালামাবাদের ঘাড়ে রয়েছে বিপুল পরিমাণ দেনার বোঝা। এর জেরে ক্রমেই কমতে থাকবে বৈদেশিক সঞ্চয়ের পরিমাণ। আকাশ ছোঁয়া হবে মূল্যবৃদ্ধি। মূল্যবৃদ্ধির জেরে এখনই নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় পাকিস্তানবাসীর। পাকিস্তানি রুপিতে এক লিটার দুধের দাম হয়েছে ২১০টাকা, এক কিলো মুরগির মাংসের দাম ৭৮০টাকা। বাড়তে চলেছে জ্বালানির দামও। ডিজেলের দাম ১২.৫ শতাংশ বাড়তে চলেছে। তা হলে এক লিটার ডিজেলের দাম দাঁড়াবে ২৯৫.৬৪ টাকায়। কেরোসিনের দাম বাড়তে চলেছে ১৪.৮ শতাংশ। পেট্রোলের দাম বেড়ে হতে চলেছে প্রতি লিটার ২১৭.৮৮ টাকা।
এদিকে, ইসলামাবাদে (Pakistan) বন্ধ করে দেওয়া হল চিনা কনস্যুলেটের অফিস। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই অফিস। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের চিনা কনস্যুলার বিভাগটি ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।