Balochistan: বালুচিস্তানে জারিফের নির্মম হত্যার নিন্দা জানিয়ে ধিক্কার মানবাধিকার সংগঠনের…
জারিফ বালুচের জন্য ন্যায় বিচার চেয়ে আন্দোলন প্রতিবাদীদের। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (বিএনএম)-এর মানবাধিকার শাখা প্যাঙ্ক, জারিফ বালুচকে অপহরণ এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো একাধিক মানবাধিকার হরণ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায় বিচারও চেয়েছে এই সংগঠন। বিশ্বের সামনে আরও একবার পাকিস্তানের কুকর্ম ফাঁস।
বালুচিস্তানের (Pakistan) একটি সংবাদ মাধ্যম বালুচিস্তান পোস্ট এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, “আমরা জারিফের অপহরণ এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র ধিক্কার জানাই। তাঁকে পাশবিক অত্যাচার করে কোনও রকম বিচার না করে খুন করা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে ন্যায় বিচার করা হয়নি। জারিফের মৃতদেহের সঙ্গে অত্যন্ত খারপ আচরণ করা হয়েছে। মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য তুর্বতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই কাজ সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকার বিরোধী।”
জীবিত অবস্থায় তার জিহ্বা কেটে ফেলা হয়েছিল!
বালুচ ইয়াকজেহতি কমিটি বা বিওয়াইসি (Balochistan) জানিয়েছে, “জারিফ বালুচকে ভয়ঙ্কর নির্যাতন করা হয়েছিল। জীবিত অবস্থায় তাঁর জিব কেটে ফেলা হয়েছিল। এই বর্বর নৃশংস কাজটি বালুচদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ এবং দমন করতেই করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে কাজটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। এই এলাকার মানুষের গত কয়েক দশকের আন্দোলনের ওপর পাকিস্তান নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে।” সেইসঙ্গে প্যাঙ্ক, পাক সরকারের কাছে দাবি করেছে, রাজ্যে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়তে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে যে কোনও রকমের প্রতিবাদ করার সুযোগ মানুষকে দিতে হবে। মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের পর থেকেই গিলগিট (Pakistan) এবং বালুচিস্তান (Balochistan) আগ্রাসী পাক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ-আন্দোলন করে আসছে। তাঁদের ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, কর্মসংস্থান এবং ইতিহাস, ঐতিহ্যকে অক্ষত রাখতে উগ্র মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে। প্রতিদিন পাক সেনার আক্রমণে প্রচুর সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। পাক সরকারের এই অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে বিশ্বমঞ্চে একাধিক বার পাকিস্তানের মুখ পুড়েছে। তবুও নির্লজ্জ দেশের আচরণে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন না ওয়াকিবহাল মহল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।