পাক বিদেশমন্ত্রী যে পাঁচটি মিথ্যা তথ্য পেশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে—
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিচারিতা আরও একবার সামনে এল। ভারতে নাকি সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। এমনই অভিযোগ করেন পাকিস্তানের নবনিযুক্ত বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। তবে মিথ্যা অভিযোগে ভারতকে নিশানা করতে গিয়ে নিজের জালেই জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।
পাক বিদেশমন্ত্রী যে পাঁচটি মিথ্যা তথ্য পেশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে—
১) পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত ও তারা ভীষণভাবে নিরাপদ (minority rights)।
২) তাঁর দেশে ধর্মীয় দিক থেকে সবাই নাকি স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারেন।
৩) ভারত নাকি মুসলিম বিরোধী।
৪) ভারতে নাকি সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
৫) ভারত নাকি হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
#IndiaAtUN
— India at UN, NY (@IndiaUNNewYork) September 21, 2022
📺Watch: Mr. Srinivas Gotru, Joint Secretary (UNES) speak at the @UN High-Level Meeting on the Rights of Minorities @MEAIndia pic.twitter.com/ikhvQB96Oj
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যে ডাহা মিথ্যা বলছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, গোটা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান হল জঙ্গি কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর। পাকিস্তানের মাটিতে সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতা তো দূরঅস্ত, কোনও নিরাপত্তা নেই। তার বড় উদাহরণ, দিন দিন পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমছে। স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশ ছিল মুসলিম। আর ১৪ শতাংশ হিন্দু। তা কমতে কমতে আজ দাঁড়িয়েছে ১.৬ শতাংশে। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৬.২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য...’’, বার্তা জয়শঙ্করের
কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারেই উল্টো। ১৯৫১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ৮৪.১ শতাংশ হিন্দু বসবাস করতেন। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৯.৮ শতাংশ। কিন্তু মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪.২ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান এবং বাকিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালচ্ছ। শুধু তাই নয়, ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটির (IFFRAS) তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েক বছরে পাকিস্তানে মুসলিমদের আধিপত্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে হিন্দু, খ্রীষ্টান সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা বেশ শোচনীয়। বিশেষ করে মহিলাদের। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছ। প্রশাসন কিংবা সরকারের কাছে গিয়ে কোনও সুরাহা হচ্ছ না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।