Dubai Real Estate: দেশের অর্থনীতি বেহাল! অথচ পাক মন্ত্রী-আমলাদের দুবাই রিয়েল এস্টেটে ১২.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি
দুবাই রিয়েল এস্টেটে পাক ধনকুবেরদের সম্পত্তি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কিছুটা দূর হলেও পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক সংকট এখনও অব্যাহত। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার বা আইএমএফ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের 'বেইল আউট' প্যাকেজ পাওয়ার কথা ইসলামাবাদের। এই আবহে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা ছাড়াও শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, ব্যাঙ্কার ও আমলারা দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেটে (Dubai Real Estate) ১২.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক।
গোপনে বিপুল সম্পদের মালিকানা অর্জনের একটি আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ও বিলাসবহুল শহর দুবাই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনকুবেররা দুবাইয়ের আবাসন খাতের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। সম্প্রতি এই শহরে বিশ্বের কোন কোন ধনকুবেরের কি পরিমাণ গোপন সম্পদ রয়েছে তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। দ্য অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের নামে সাংবাদিকদের একটি গোষ্ঠী এই রিপোর্ট দেয়। মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রকাশিত ‘দুবাই আনলকড’ নামক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানের ১৭ হাজার নাগরিক দুবাইতে ১২.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক। তবে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দুবাইয়ে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির আছে দুটি সম্পদ। তার ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, বাখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি ও তার মেয়ে আসিফা ভুট্টো জারদারিও সম্পত্তি রয়েছে। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভির স্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসেন নওয়াজ শরিফ, রাজনীতিবিদ শারজিল মেমন, সেনেটর ফয়সাল ভাউদা, জাতীয় পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং সিন্ধু ও বালুচিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের কয়েকজন সদস্যের নামেও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। রোশান হুসেন ও হুসেন জাহুর নামে দুই পাকিস্তানি (Pakistan) ধনকুবের নামও আছে এ তালিকায়। কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল, একজন পুলিশপ্রধান, একজন দূত ও একজন বিজ্ঞানীর নামও আছে। তাঁরা কেউ সরাসরি সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন, কেউ স্বামী-স্ত্রী বা সন্তানের নামে সম্পত্তি কিনেছেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় বিমানবাহী রণতরীর নির্মাণ শীঘ্রই, হবে আরও ৫-৬টি, বড় ঘোষণা রাজনাথের
পাকিস্তানের (Pakistan) ধনকুবেররা যখন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, তখন দেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে। বারবার আইএমএফ-এর কাছে ঋণের আর্জি জানাতে হচ্ছে। সম্প্রতি পাক আমলারা আইএমএফ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। এর আগেও আইএমএফ-এর অর্থ সাহায্য পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল ইসলামাবাদকে। পাকিস্তান তাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে কী কী কর্মসূচি নিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে আইএমএফ। আইএমএফ একটি বিবৃতিতে বলেছে, 'বিগত কয়েক মাসে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক হাল কিছুটা হলেও ফিরেছে। তবে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার এবারও খুব একটা ঊর্ধ্বমুখী হবে না। এদিকে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি এখনও সর্বোচ্চ গুরুত্বের।' আইএমএফ জানিয়েছে, এই সমস্যা মেটাতে ইসলামাবদকে সমস্যার আরও গভীরে গিয়ে নীতি পরিবর্তন করতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।