বাড়তি বরাদ্দ ব্যয় হবে সৈনিকদের বেতন, ভাতা সহ অন্যান্য খাতে...
প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা (defence) খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান (pakistan) সরকার। আগামী অর্থবর্ষে সেনাবাহিনীর জন্য ১.৪৫৩ ট্রিলিয়ন রুপি বরাদ্দ রাখতে যাচ্ছে শেহবাজ সরকার। গত অর্থবর্ষে এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১.৩৭ ট্রিলিয়ন রুপি। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রেই এ খবর মিলেছে।
রবিবার পাকিস্তানের একটি সংবাদ প্রতিবেদনে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ যে বাড়তে চলেছে, তা জানানো হয়েছে। মাস কয়েক আগেই ইমরান খানের সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে শেহবাজ শরিফ (Shahbaz shariff )। ইমরানের অভিযোগ, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। যদিও এই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাক সরকার।
আরও পড়ুন : "তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!" কেন এমন কথা বললেন ইমরান?
সূত্রের খবর, শেহবাজ ক্ষমতায় এসেই নজর দেন প্রতিরক্ষা খাতের দিকে। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়াবে শেহবাজের সরকার। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী অর্থবর্ষে সেনাবাহিনীর জন্য ১.৪৫৩ ট্রিলিয়ন রুপি বরাদ্দ রাখা হবে। গত অর্থবর্ষে ছিল ১.৩৭ ট্রিলিয়ন রূপি। অর্থাৎ নয়া অর্থবর্ষে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ছে প্রায় ৮৩০০ কোটি রুপি। গত অর্থবর্ষের তুলনায় যা শতকরা ৬ ভাগ বেশি। সেনাবাহিনীর দাবি, মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় বরাদ্দের যে পরিমাণ প্রয়োজন, এই অর্থ তার চেয়ে প্রায় ৫৩০০ কোটি রুপি কম। প্রতিবেদনে দাবি, বর্ধিত পরিমাণ বরাদ্দের বেশিরভাগটাই খরচ হবে সেনা কর্মীদের বেতন ও ভাতা দিতে। বরাদ্দের বাকি টাকা খরচ হবে সামরিক পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনায়। কর্মীদের রেশন, ট্রান্সপোর্ট, ট্রেনিং এবং চিকিৎসাখাতেও ব্যয় করা হবে ওই বরাদ্দ।
আরও পড়ুন : অশান্ত পাকিস্তান! ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে শাহবাজ সরকারকে হুঁশিয়ারি ইমরানের
চলতি বছরের এপ্রিলেই অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী ইমরান খানকে। আইএসআই গুপ্তচর সংস্থার প্রধানের নিয়োগে সিলমোহর দিতে অস্বীকার করায় সেনাবাহিনীর রোষানলে পড়েন তিনি। তার জেরেই গদি হারাতে হয় এই ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদকে।
সূত্রের খবর, ফি বছর পাকিস্তানের একজন সৈনিকের জন্য খরচ হয় ২.৬৫ বিলিয়ন রুপি। ভারত যা ব্যয় করে তার এক তৃতীয়াংশও নয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১১.৩ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির জেরে এই বরাদ্দ প্রত্যাশিতই ছিল।