Telegram: টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভকে চেনেন?...
টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হয়েছেন জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ। প্যারিসের বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ফ্রান্সের পুলিশ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তিনি আজারবাইজানের বাকু থেকে প্যারিসে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালকদের বিরুদ্ধে হওয়া হিংসা রুখতে কাজ করে ফ্রান্সের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অফমিন’। তারাই দুরভের (Pavel Durov) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশ জারি করেছিল। পাভেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর নৈতি করা টেলিগ্রাম অসামাজাকি কার্যকলাপের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে। ওই সামাজিক মাধ্যম মারফৎ প্রতারণা, মাদক পাচার, সাইবার বুলিং, সংগঠিত অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ প্রচারের মতো গুরুতর কাজ হয়। একাধিকবার বলা সত্ত্বেও টেলিগ্রামে অপরাধীদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। ফলে অভিযোগ যে মারাত্মক ছিল, তা অনুমেয়।
টেলিগ্রাম মূলত মেসেজিং অ্যাপ। এটি মূলত দুবাই কেন্দ্রিক। অন্যান্য বার্তা বাহক অ্যাপ হিসেবে এই টেলিগ্রাম বেশ কিছু সময় ধরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত বা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করে থাকে। একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে দুরভ (Pavel Durov) বলেন, “প্রথমে একটি সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইট তৈরি করেছিলাম। তা নিয়ে রাশিয়া সরকার ব্যাপক চাপ তৈরি করেছিল। পরে তা বিক্রি করে রাশিয়া ছেড়েছি ২০১৪ সালে। এরপর এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ নির্মাণের ভাবনাও ভেবেছিলাম এবং তৈরি করলাম টেলিগ্রাম। এরপরে দুবাইতে ভিত্তি করে টেলিগ্রামের ব্যবসা শুরু করি।” উল্লেখ্য এই অ্যাপ দুই লক্ষ সদস্য নিয়ে গ্রুপ তৈরি করতে দেয়। ফলে এই মাধ্যমে খুব সহজেই দ্রুত যেকোনও বার্তাকে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। আর এখানেই বিদ্বেষমূলক ভাবনা, মিথ্যে তথ্য, ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ, আনসার ও ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ! আহত ৪০
মূলত রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন পাভেল দুরভের (Pavel Durov)। এখন বয়স মাত্র ৩৯। তিনি টেলিগ্রাম অ্যাপের মালিক। একপ্রকার হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, উইচ্যাটের মতো প্রতিযোগী এই মেসেজিং অ্যাপ। রাশিয়া, ইউক্রেন এবং সাবেক সোভিয়েত ভেঙে তৈরি হওয়া দেশগুলিতে ব্যাপক জনপ্রিয় টেলিগ্রাম। ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, পাভেলের সম্পত্তির পরিমাণ হল ১৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে তিনি ২০২১ সাল থেকে ফ্রান্সে নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এখন দুবাই থেকে ব্যবসা চালাতেন। এবার, পাভেল গ্রেফতার হওয়ার জেরে টেলিগ্রামের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই নিয়ে কৌতুহল নেট-দুনিয়ায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।