সাধারণ মানুষের অভিযোগ পাক সরকার জঙ্গি দমনে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় খেসারত দিতে হচ্ছে।
হামলার পর।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের পেশোয়ারে মসজিদে আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করল তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি। সোমবার মসজিদে প্রার্থনার সময় হামলা চালান টিটিপির বোমারু জঙ্গি। সেই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯০ জন। আহত দুই শতাধিক। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান। নিহতদের মধ্যে ২৭ জন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
মসজিদে হামলার পর পরই তার দায় স্বীকার করে টিটিপি জঙ্গি সংগঠন। একই সঙ্গে তারা বার্তা দেয়, এই হামলা হল উমর খালিদ খুরাসানির মৃত্যুর বদলা। ২০২২-এর আগস্টে পাকিস্তান সেনার গুলিতে নিহত হন টিটিপির কমান্ডার খুরাসানি। পাকিস্তানের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দাদার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার জন্য তলে তলে হামলার প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন তাঁর ভাই মুকর্রম। সোমবার মসজিদে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁরই। একজনের মৃত্যুর বদলা নিতে ৯০ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করল টিটিপি। এর আগে ২০১৬ সালে গুলশন-ই-ইকবাল বিনোদন পার্কে হামলা চালায় এই সংগঠন। যে ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৭০ জনেরও বেশি মানুষের।
আরও পড়ুন: পেশোয়ারের মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু
এই হামলার পর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ-সহ পাকিস্তানের অন্যান্য মসজিদ গুলিতেও করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তান যে পরিমান অর্থনৈতিক চাপের মুখে রয়েছেন তাতে এই ঘটনা আরও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ সরকার জঙ্গি দমনে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় খেসারত দিতে হচ্ছে। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেছেন, বিস্ফোরণে জড়িতদের কঠোর সাজা দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে আহতদের দ্রুত চিকিৎসারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তিনি লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদীদের মোকাবিলায় দেশের গোয়েন্দা, নিরাপত্তা ও পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করার সময় এসেছে।’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।