প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে নানান প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিমানবন্দরে ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ। তার মধ্যে বাংলা প্লাকার্ডও চোখে পড়ে৷
টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী মোদি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'টু জিরো টু ফোর- নরেন্দ্র মোদি ওয়ান্স মোর', জার্মানির প্রবাসী ভারতীয়দের মতো একই আওয়াজ জাপানে (Japan)৷ সোমবার কোয়াড (Quad summit) সামিটে যোগ দিতে জাপানের রাজধানী টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ২৩ এবং ২৪ মে টোকিওতে (Tokyo) কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জাপানে মোট ৪০ ঘণ্টা থাকবেন এবং ২৩টি বৈঠকে অংশ নেবেন মোদি। এছাড়াও ৩৫ জন জাপানি সিইও এবং প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আমেরিকা এবং ভারতকে নিয়ে মূলত কোয়াড সম্মেলন আয়োজিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর আগামী দুই দিন অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যেই কাটতে চলেছে। মোদির সময়সূচি অনুযায়ী, কোয়াড সামিট ছাড়াও তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden), অস্ট্রেলিয়ার নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন।
আরও পড়ুন: বাঃ! কোথা থেকে শিখলে? জাপানি শিশুর হিন্দিতে মুগ্ধ মোদি
মোদির ২৩ তারিখের কর্মসূচি:
প্রধানমন্ত্রী মোদিকে প্রবাসী ভারতীয়দের স্বাগত সম্বর্ধনা।
NEC কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান নোবুহিরো এন্ডোর সঙ্গে বৈঠক।
UNIQLO চেয়ারম্যান তাদাশি ইয়ানাইয়ের সঙ্গে বৈঠক।
সুজুকি মোটরসের উপদেষ্টা Osamu Suzuki-র সঙ্গেও বৈঠক করবেন মোদি।
সফটব্যাঙ্ক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট Masayoshi Son-এর সঙ্গে দেখা করবেন।
ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক পার্টনারশিপ সূচনা করবেন।
জাপানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও গোল টেবিল বৈঠক করবেন।
জাপানে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলোচনা করার কথা মোদির।
২৪ তারিখের কর্মসূচি:
কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেবেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যাবেন।
জাপানে প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে কোয়াড লাঞ্চে যোগ দেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করবেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
জাপান-ভারত অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং নৈশভোজ সারবেন।
শেষে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি।
এদিন মোদি জাপানে পৌছতেই ‘হর হর মোদি’, ‘মোদি কি জয়’, ও ‘বন্দেমাতারাম’ ‘ভারত মাতা কী জয়' সহ একাধিক স্লোগানে মেতে ওঠেন প্রবাসী ভারতীয়েরা। নানান প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিমানবন্দরে ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ। তার মধ্যে বাংলা প্লাকার্ডও চোখে পড়ে৷ একটি জাপানি সংবাদপত্রে দু' দেশের সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লেখাও প্রকাশিত হয়েছে এদিন। সেখানে মোদি লিখেছেন, 'আমাদের সম্পর্ক শান্তি, স্থায়িত্ব এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে৷ এই বিশেষ বন্ধুত্ব ৭০ বছর পূরণ করল৷'