বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে থাকতে পারে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সঙ্কট, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, জলবায়ু সঙ্কটের মতো বিষয়গুলি।
মোদি-বাইডেন বেঠক হতে চলেছে টোকিওয়।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে যাতে গমের আকাল তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিদেশে গম রফতানির উপর বিধিনিষেধ (Wheat export ban) জারি করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের (India) এই অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছে জি-৭ (G-7) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। গম রফতানি নিয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের (World Food Crisis) সমাধান প্রসঙ্গে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছে আমেরিকা (USA)। টোকিওতে (Tokyo) মঙ্গলবার মার্কিন প্রসিডেন্ট জো-বাইডেনের (US President Joe Biden) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বৈঠকে তাই গম রফতানি নিয়ে কথা হতে পারে বলে মনে করছে কুটনৈতিক মহল।
কোয়াড সামিটে (QUAD summit) যোগ দিতে সোমবার জাপানের (Japan) রাজধানী টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৩ এবং ২৪ মে টোকিওতে কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কোয়াড সামিট ছাড়াও তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন।
আরও পড়ুন: ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে গত মাসেই একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবার কোয়াড সম্মেলনের ফাঁকে মুখোমুখি মোদি-বাইডেন (Modi-Biden) বৈঠকে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে থাকতে পারে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট, গম রফতানি নিয়ে ভারতের অবস্থান, সন্ত্রাসবাদ (Terrorism), ইউক্রেন সংকট (Ukraine), জলবায়ু পরিবর্তনের (Climate Change) মতো বিষয়গুলি।
সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে গম রফতানির ক্ষেত্রে বড়সড় রদবদল ঘটানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, রফতানির তালিকায় গমকে 'নিষিদ্ধ' ঘোষণা করা হচ্ছে। এর জন্য রফতানি বিষয়ক নীতিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনীও আনে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হয় G7 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। তাদের বক্তব্য, যে দেশগুলি এতদিন ভারতের কাছ থেকে নিয়মিত গম আমদানি করত, নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তে তারা বিপদে পড়বে।
এশিয়া বা ভারত মহাসাগরীয় (Indian Ocean region) ভূ-রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী ভারত। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War) নিয়ে আমেরিকার পথে হাঁটেনি মোদি সরকার। বারবার বার্তা দেওয়ার পরেও নিরপেক্ষ অবস্থানে অটল থেকেছে ভারত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়া বিরোধী কড়া অবস্থান নেয়নি। যুদ্ধের সমালোচনা করে যুদ্ধ বন্ধের বার্তা দিলেও রাশিয়ার বিরোধী কোনও পদক্ষেপ করেনি ভারত। বরং আমেরিকার চোখরাঙানি এড়িয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনার চুক্তিও করেছে। যা নিয়ে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কে সামান্য হলেও আঁচড় লেগেছে বলে মনে করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে মোদি-বাইডেন (Modi Biden meet) মুখোমুখি বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কুটনৈতিক মহল।