ব্রিটেনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হল সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে....
ঋষি সুনক ও ক্যামেরন (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋষি সুনকের মন্ত্রিসভায় রদবদল। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন (David Cameron) হলেন বিদেশমন্ত্রী। ৭ বছর পরে ফের তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা গেল। সোমবারই ঋষির মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়। সেখানেই বিদেশ এবং উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে ক্যামেরনকে নিযুক্ত করা হয়।
এ নিয়ে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন (David Cameron) সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক আমাকে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি সানন্দে তা গ্রহণ করেছি।’’ আবার ঘটনাক্রমে, বিদেশমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নিয়ে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন প্রথম বৈঠকটি করেন ভারতের সঙ্গে। সোমবারই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের শাসক দল কনসারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতা জেমস ক্লেভারলিকে সরিয়ে এই দায়িত্ব পেলেন ক্যামেরামন। মনে করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার পরিবেশ বর্তমানে তৈরি হয়েছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সেখানে কূটনীতিক হিসেবে ক্যামেরনের (David Cameron) মতো একটি পরিচিত মুখ খুবই দরকার। অন্যদিকে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে আনা হয়েছে ক্লেভারলিকে।
অন্যদিকে, সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়েও জোর চর্চা চলছে। কোনও কোনও মহলের দাবি, লন্ডন পুলিশের সমালোচনা করার জন্যই তাঁকে সরতে হল। প্রসঙ্গত, প্যালেস্তাইনের সমর্থনে লন্ডনে একটি মিছিলে হামাসবিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষের একটি ঘটনা ঘটে। এখানে লন্ডন পুলিশ বেছে বেছে হামাস বিরোধীদের গ্রেফতার করছে বলে তোপ দাগেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। সেই সময় থেকেই ঋষি সুনকের উপর চাপ বাড়াতে থাকে কতগুলি গোষ্ঠী। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য যে সরকারের বক্তব্য নয় তা বিবৃতি দিয়ে জানায় ঋষির সরকার। তবে ওয়াকিবহাল মহলে ধারনা, বিভিন্ন মহল থেকে চাপ বাড়তে থাকায় মন্ত্রিসভা থেকে সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে সরানো হল। প্রসঙ্গত, আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেন ইজরায়েলের পাশেই রয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।