img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

UK PM Election: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেন ঋষি সুনক-লিজ ট্রাস  

প্রথম থেকেই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে আসছেন ঋষি সুনক। 

img

ঋষি সুনক- লিজ ট্রাস

  2022-07-21 18:19:18

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে শেষ পর্বে পৌঁছলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। সঙ্গে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিটেনের বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস (Liz Truss)। মসনদ দখলের লড়াইয়ে সকলকে হারিয়ে শেষ দুইয়ে টিকে রয়েছেন তাঁরা। সামনে আর মাত্র একটা ধাপ। তারপরেই জানা যাবে কে হচ্ছেন ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী (UK PM Election)।   

প্রথম থেকেই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে আসছেন ঋষি সুনক। এই অবধি তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। এর পরের ভোটাভুটি রাউন্ডেই ঠিক হয়ে যাবে কে হাসবেন শেষ হাসি। অনেকেই নিশ্চিত বরিস জনসনের ছেড়ে যাওয়া পদে বসবেন ঋষিই। যদি এমনটা হয়, তাহলে এই প্রথম কোনও অশ্বেতাঙ্গ, হিন্দু ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন।

আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোলেন ঋষি  

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে শেষ তিনের লড়াই চলছিল। সেই জায়গা থেকে বুধবারের ভোটে ছিটকে যান পেনি মরডান্ট। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ১০৫টি। ব্রিটেনের ট্রয়ের প্রতিনিধিদের তরফে শেষ ৫ ব্যালটে এগিয়ে ছিলেন ঋষি। আপাতত তাঁর একমাত্র প্রতিপক্ষ ট্রাসের পক্ষে ভোট রয়েছে ১১৩টি। ঋষির দখলে রয়েছে ১৩৭ টি ভোট।

  আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

ঋষি সুনক কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদদের মধ্যে ভোটের সব রাউন্ডে জিতেছেন। কিন্তু, ট্রাসকেই এখন পর্যন্ত সরকারি দলের ২ লক্ষ সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বলে মনে করছে আর এক মহল। 

শেষ নির্বাচনে সদস্যরাই তাঁদের দলের নেতা বা নেত্রীকে বেছে নেবেন। একসপ্তাহ ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলবে ঋষি ও ট্রাসের মধ্যে। ৫ সেপ্টেম্বর হবে ফল ঘোষণা। 

ঋষি সুনকের বয়স ৪২। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে বরিস জনসনই (Boris Johnson) তাঁকে নির্বাচন করে অর্থমন্ত্রী করেন। অতিমারি চলাকালীন ব্যবসা এবং কর্মচারীদের সাহায্য করার জন্য কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিশাল প্যাকেজ তৈরির পরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ঋষি। তিনি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই। 

স্ত্রীর নন-ডোমেস্টিক ট্যাক্স, নিজের ইউএস গ্রিন কার্ড এবং বিপুল সম্পত্তির কারণে মাঝে মাঝেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ঋষিকে। কোভিড লকডাউন অমান্য করার জন্য এবং ডাউনিং স্ট্রিট সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্যও জরিমানা করা হয় তাঁকে। ঋষি সুনকের দাদু ঠাকুমা পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। 

দুর্নীতির দায় নিয়ে গত ৭ জুলাই পদত্যাগ করেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। বরিস প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতেই ব্রিটেনের রাজনীতিতে ডামাডোল শুরু হয়।  

এখন ঋষি বা ট্রাস বিজয়ী যেই হোন না কেন, তাঁকে গত কয়েক দশকের মধ্যে ব্রিটেনের সবথেকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ব্রিটেন। মুদ্রাস্ফীতি বার্ষিক ১১% ছুঁতে চলেছে। থমকে গিয়েছে বৃদ্ধি। শিল্প খানিকটা বেড়েছে। তবু ডলারের তুলনায় পাউন্ডের দর এখন সবচেয়ে কম। তাই প্রধানমন্ত্রীর পদে যেই আসুন না কেন, তাঁর জন্যে অপেক্ষা করছে এক কাঁটা বেছানো সিংহাসন। 

Tags:

Boris Johnson

Rishi Sunak

Liz Truss

UK PM Election


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর