এ অবধি ভোটের ট্রেন্ড দেখে অনেকেই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর মুকুট উঠবে ঋষির মাথাতেই।
ঋষি সুনক
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহাসনের আরও একটু কাছে এগিয়ে গেলেন ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister Election) হওয়ার লড়াইয়ে ফের করলেন বাজিমাৎ। দ্বিতীয় ধাপের ভোটেও কনজারভেটিভ দলের এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতা পেলেন সবচেয়ে বেশি সমর্থন।
তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি পেয়েছেন ১০১টি ভোট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ব্রিটেনের সহ-বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মরডন্ট। তিনি পেয়েছেন ৮৩টি ভোট। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রাস। পেয়েছেন ৬৪টি ভোট। বরিস সরকারের মন্ত্রী কেমি বেডনোচ পেয়েছেন ৪৯টি ভোট। টম টুগেনধাত ৩২টি ভোট পেয়ে এখনও লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন। আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত, ব্রিটেনের অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্লেভারম্যান ২৭টি ভোট পেয়ে লড়াই থেকে বাদ পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নাম দিয়ে কটাক্ষের শিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি - সুয়েলা
এ অবধি ভোটের ট্রেন্ড দেখে অনেকেই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর মুকুট উঠবে ঋষির মাথাতেই।
প্রথম ধাপের ভোটেও সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন ঋষি। দলের ৩৫৮ জন সাংসদের মধ্যে ৮৮ জনের সমর্থন পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?
ঋষি সুনকের বয়স ৪২। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে বরিস জনসনই (Boris Johnson) তাঁকে নির্বাচন করে অর্থমন্ত্রী করেন। মহামারী চলাকালীন ব্যবসা এবং কর্মচারীদের সাহায্য করার জন্য কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিশাল প্যাকেজ তৈরির পরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ঋষি।
স্ত্রীর নন-ডোমেস্টিক ট্যাক্স, নিজের ইউএস গ্রিন কার্ড এবং বিপুল সম্পত্তির কারণে মাঝে মাঝেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ঋষিকে। কোভিড লকডাউন অমান্য করার জন্য এবং ডাউনিং স্ট্রিট সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্যও জরিমানা করা হয় তাঁকে। ঋষি সুনকের দাদু ঠাকুমা পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তির কন্যা অক্ষতা ঋষির স্ত্রী। তাঁদের দুই কন্যাও রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়াতে পড়াশোনা করা কালীন তাঁদের আলাপ হয়।