Muslim: রাশিয়ায় একাধিক পত্নী রাখার শরিয়া আইন প্রত্যাহার প্রগতিশীল মুসলিমদের…
রাশিয়া ফতোয়া জারির সময়কার একটি চিত্র। সংগৃহীত।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম বিশ্বে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার (Russia) একটি প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী। রাশিয়ার শীর্ষ ইসলামিক (Muslim) সংস্থা মুসলিম পুরুষদের দুই বা ততোধিক বিয়ে বা স্ত্রী (Four Wives) রাখার সিদ্ধান্তকে নাকচ করার কথা ঘোষণা করেছে। তবে এই সিদ্ধান্ত শুধু রাশিয়ার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় গোটা বিশ্বে ইসলামিক রাষ্ট্রের সামনে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক ধর্ম বিশেষজ্ঞরা।
সাধারণত মুসসিম পার্সোনাল ল’বোর্ড বা শরিয়া শাসন চারটি করে বিয়ের অনুমতি দিয়ে থাকে। গোটা বিশ্বে পশ্চিম থেকে পূর্বে সর্বত্র এই নিয়ম অক্ষরে অক্ষের পালন করা হয়। যদিও গবেষকরা মনে করেছেন, গোটা বিশ্বে বাকি ধর্মের তুলানায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের একটি বড় কারণ হল একাধিক বিবাহ এবং বহু সন্তান উৎপাদন নীতি। তাই প্রগতিশীল মুসলিম সংগঠনের ভাবনা ইতিবাচক।
রাশিয়ার (Russia) ইসলামিক সংস্থার পক্ষ থেকে আগে ১৭ ডিসেম্বর একটি ফতোয়া বা ধর্মীয় বিধি জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, সমস্ত পরিস্থিতিতে মুসলিম পুরুষরা একাধিক স্ত্রী (Four Wives) রাখাতে পারবেন। সেই সঙ্গে আরও বলা হয় একজন মুসলমানের চারটি স্ত্রী থাকতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে সকলের জন্য আলাদা আলাদা থাকার জায়গা সহ সমান ভাবে বস্তুগত উপলব্ধতাকে প্রাধ্যান্য দিতে হবে। এরপর রাশিয়ার মুসলিমদের ধর্মীয় সংগঠনের কাউন্সিল অফ স্কলারের নতুন ঘোষণা হয় যে এই চার স্ত্রী রাখার নির্দেশ রাশিয়ার আইনের সঙ্গে কোনও রকম ভাবে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শারিয়া নিয়ম দেশের আইনের পরিপন্থী। ইসলামিক এই ফতোয়াকে অবিলম্বে প্রত্যহার করতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়লে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চাঞ্চাল্য তৈরি হয়।
রাশিয়ার (Russia) ইসলামিক কাউন্সিল অফ স্কলারের নতুন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক প্রগতিশীল মানুষ। আবার রাশিয়ার পার্লামেন্টারি ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান নিনা ওস্তানিনা বলেন, "রাশিয়ায় বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। এটি আমাদের মূল নৈতিকতা এবং ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।”
উল্লেখ্য, ভারতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার পাশাপাশি ‘মুসলিম (Muslim) পার্সোনাল ল'বোর্ড নামে একটি আলাদা ক্ষেত্র রয়েছে। কংগ্রেসের আমল থেকে দেশের সংবিধানকে আড়ালে রেখে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। একইভাবে ওয়াকফ বোর্ডও সক্রিয় রয়েছে দেশে। বিশেষজ্ঞরা ইসলামের শরিয়া শাসনকে আগ্রাসী ও হিংসাত্মক বলেছেন। তবে ভারতের কোনও প্রগতিশীল মুসলিম সংগঠন দুই বা ততোধিক স্ত্রী রাখা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।