Russia-Ukraine War: ইউক্রেনের দাবি, এই মিসাইল হামলার ফলে মোট ৪জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যু্দ্ধ (Russia-Ukraine War) যেন শেষ হওয়ার নাম নিচ্ছে না। ইউক্রেনে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে রাশিয়া। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমের শহরগুলোতে রুশ বাহিনী ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। সেইসঙ্গে চলেছে মস্কোর ড্রোন আক্রমণও। আর এই আক্রমণের জেরে রাজধানী কিয়েভ সহ সমগ্র ইউক্রেন জুড়ে ‘ব্ল্যাকআউটের’ প্রভাব পড়েছে জল সরবরাহ এবং অন্যান্য পরিষেবায়। এই হামলাকে রাশিয়ার সব থেকে বড় হামলার মধ্যে একটি ধরা হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, এই মিসাইল হামলার ফলে মোট ৪জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা নাগাদ বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। এরপরেই প্রায় ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে হামলা করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়েছে, মধ্য ক্রিভি রিহ-তে একটি অ্যাপার্টমেন্টে মিসাইল হানায় তিনজন মারা গিয়েছেন। এছাড়াও খেরসনের দক্ষিণেও রাশিয়ার হামলায় আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। রুশ হামলায় সবগুলো তাপ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ব্যাপক ব্ল্যাকআউট হয়েছে এবং বিদ্যুৎ, জল সরবরাহও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার কিয়েভকে সতর্ক করে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, নতুন বছরের শুরুর দিকে মস্কো সর্বাত্মক আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে। আবার শুক্রবার ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়, শীতের মধ্যেই কিভ দখলের লক্ষ্যে নতুন প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রায় ২ লক্ষ রুশ ফৌজ। ফলে জেলেনস্কি ইউক্রেনবাসীদের সতর্কে থাকতে বলেছেন। অন্যদিকে মস্কো থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে (Russia-Ukraine War)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কেন হল জানেন?
রাশিয়ার (Russia-Ukraine War) হামলা তীব্র করার পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার কাছে আরও ব্যাপক হামলার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র মজুত রয়েছে। ইউক্রেনের পরিকাঠামোর ওপরে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করতে তিনি পশ্চিমী দেশগুলির কাছে আরও সাহায্য, উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ইউক্রেন শক্তিশালী। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, মস্কো যতই মিসাইল হামলা চালাক না কেন, শক্তির ভারসাম্যে তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। তাঁর দাবি, ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলার এক বছর হতে চললেও এতদিনে ইউক্রেনের সামান্য অংশই দখল করতে পেরেছে রাশিয়া। অন্যদিকে কিয়েভের এক বাসিন্দা বলেন, “তারা আমাদের ধ্বংস করতে চায়, এবং আমাদের দাস বানাতে চায়। কিন্তু আমরা আত্মসমর্পণ করব না। আমরা সহ্য করব।” আবার ইউক্রেনবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। বিদ্যুৎ ব্যবহারে দেশবাসীকে আরও সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি (Russia-Ukraine War) ।