যুবরাজ ইতিমধ্যেই দেশের উপপ্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন...
মহম্মদ বিন সালমান
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমানকে (Mohammed bin Salman) দেশটির প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) ঘোষণা করা হয়েছে। সৌদির (Saudi) বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বছর সাঁইত্রিশের যুবরাজ ইতিমধ্যেই দেশের উপপ্রধানমন্ত্রীর (Deputy Prime Minister) পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সৌদির প্রধানের পদে আসীন না হলেও যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমানই ছিলেন বিশ্বের সর্বাধিক তেল রপ্তানিকারী দেশটির অঘোষিত নিয়ন্ত্রক। মন্ত্রিসভার রদবদলে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে তাঁর ভাই খালিদ বিন সালমানকে। খালিদ এতদিন উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তবে রাজকীয় ফরমানে অন্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে কোনও বদল করা হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে প্রিন্স ফায়সাল বিন ফারহান আল সৌদ, অর্থমন্ত্রী পদে মোহাম্মাদ আল- জাদান এবং বিনিয়োগমন্ত্রী পদে খালিদ আল ফালিহর বহাল রয়েছেন।
আরও পড়ুন: অডিও ক্লিপ ইস্যুতে অস্বস্তিতে শাহবাজ সরকার, জরুরি বৈঠকের ডাক পাক প্রধানমন্ত্রীর
সৌদিতে সাধারণতঃ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিজের কাছে রাখতেন বাদশাহ। ছেলে মহম্মদ বিন সালমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করলেও নিজের হাতেই ক্ষমতার রশি ধরে রেখেছেন বছর ছিয়াশির বাদশাহ সালমান।
রাজকীয় ফরমানে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। তবে সৌদির এক রাষ্ট্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, বাদশাহই থাকছেন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান (Head of State)। মন্ত্রিসভায় (Cabinet) উপস্থিত থাকলে বাদশাহই সভাপতিত্ব করবেন। এর আগেও একাধিকবার বাদশাহ শারীরিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বাদশাহের অসুস্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন করা হল যুবরাজকে।
প্রসঙ্গত, যুবরাজ সালমান রাশিয়ার (Russian) তৈরি ‘বিষাক্ত আংটি’ ব্যবহার করে তৎকালীন বাদশাহকে খুন করে বাবার জন্য সৌদি আরবের সিংহাসন আরোহণের পথ পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। তাঁর এই গোপন পরিকল্পনার কথা পরে জানিয়েছিলেন তাঁর কাকার ছেলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিন নায়েফকে। ২০১৫ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান সৌদির বাদশাহ আবদুল্লাহ। তাঁর সৎ ভাই এবং মহম্মদ বিন সালমানের বাবা সালমান বিন আবদুল আজিজ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। মহম্মদ বিন নায়েফকে তখন ক্রাউন প্রিন্স করেছিলেন বাদশাহ সালমান। এরপর ২০১৭ সালে বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজেকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে ঘোষণা করেন মহম্মদ বিন সালমান স্বয়ং।