৭,০০০ বর্গমিটারের এই সম্পত্তিটি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের লুভেসিয়েনসে অবস্থিত।
শাত্যো লুই ১৪
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি কোনটি আপনি কি জানেন? বা তার দাম কত ও কোথায় আছে সেই বাড়ি, কে ই বা থাকেন সেই বাড়িতে? তবে আজ তারই খোঁজ দিতে চলেছি যার দাম শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন। বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়িটি এই দেশে নয় ফ্রান্সে অবস্থিত। আর খবরসূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িটি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। সম্প্রতি তিনি ইউরোপ সফরে বেরিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে গিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (Mohammed bin Salman)। এদিন তিনি সন্ধ্যায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর (Emmanuel Macron) সঙ্গে তাঁর বাসভবন এলিজি প্যালেসে বৈঠক করেন। ফ্রান্স সফরে গিয়ে তিনি নিজ মালিকানাধীন বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রাসাদ ‘শাত্যো লুই ১৪’-এ (Chateau Louis XIV) উঠেছেন। প্রাসাদটি ২০১৫ সালে তিনি ৩০১ মিলিয়ন ডলারে কিনেছিলেন। ৭,০০০ বর্গমিটারের এই সম্পত্তিটি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের (Paris) লুভেসিয়েনসে (Louveciennes) অবস্থিত। মোট ৫৭ একর জায়গার ওপর তৈরি এই বাড়ি। 'ফরচুন' নামক ম্যাগাজিনটি এই শাত্যো লুই ১৪ প্রাসাদটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি বলে উল্লেখ করেছেন।
কোগমেডের ওয়েবসাইট (Cogemad’s website) অনুসারে, এই প্রাসাদের ডিজাইনটি সপ্তদশ শতকের প্রাসাদগুলোর ডিজাইনের অনুকরণেই এই প্রাসাদটির নকশা তৈরি করা হয়েছে। প্রাসাদটির নির্মাতা ছিলেন খাশোগির তুতো ভাই ইমাদ খাশোগি (Emad Khashoggi)। ফ্রান্সে অভিজাত নির্মাণকাজের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। এই প্রাসাদের মাঠে লুইস ১৪ -এর একটি মার্বেলের মূর্তি তৈরি করা আছে। তাছাড়াও এই বিশাল প্রাসাদে ১০টি বেডরুম সুইট, লাইব্রেরি, রিসেপশন রুম রয়েছে। আর কি না নেই।
এই বিলাসবহুল প্রাসাদে বিশাল অ্যাকুইরিয়াম, সিনেমা হল, সোনায় বাঁধানো ফোঁয়ারা রয়েছে। এতে একটি নাইট ক্লাব রয়েছে। এছাড়াও সাদা চামড়ার মোড়া সোফা সহ একটি কাঁচের চেম্বারও রয়েছে প্রাসাদে যা অনেকটা বিশালাকৃতির অ্যাকুইরিয়ামের মত দেখতে ৷ প্রাসাদের ভেতরে ওয়াইন সেলার রয়েছে। রয়েছে গোলকধাধাও।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাসাদের সোনায় বাঁধানো ফোয়ারাটির সঙ্গে সাউন্ড সিস্টেম, লাইট যুক্ত করা আছে যা আইফোনের সাহায্যে কন্ট্রেল করা যায়। প্রাসাদের দরজাগুলি প্রতিটিই সোনায় মোড়া। গোটা প্রাসাদ জুড়েই বহুমূল্য শিল্পকর্ম ছড়িয়ে রয়েছে। তবে এই প্রাসাদটি সৌদি যুবরাজ কার থেকে কিনেছিলেন তা এখনও জানা যায়নি।