বালোচ ও সিন্ধ প্রদেশকে জোর করে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করে তারা...
চলছে প্রতিবাদ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ অগাস্ট কালো দিন পালন করলেন বালোচ ও সিন্ধের (Sindh) দাবিতে আন্দোলনকারীরা। এঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরাও। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ অগাস্ট। এদিনই ইংল্যান্ডবাসী দেখলেন এই প্রতিবাদ আন্দোলন। সিন্ধ বালোচ ফোরামের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। সেদিন তারা বালোচ ও সিন্ধ প্রদেশকে জোর করে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করে। তারই প্রতিবাদে এদিন মিছিল হয়েছে।
প্রতিবাদ মিছিলে (Sindh) শামিল হওয়া বাসিন্দারা এদিন ট্রাফালগার স্কোয়ার থেকে হেঁটে যান ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট পর্যন্ত। এই ডাউনিং স্ট্রিটেই থাকেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এদিন সিন্ধ বালোচ ফোরামের তরফে প্রতিবাদীরা প্রধানমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দেন। তাতে বলা হয়েছে, হাজার হাজার বালোচ এবং সিন্ধবাসীর জীবন রক্ষা করুন ব্রিটেনের রাজা। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর প্রতিবাদীরা যান পার্লামেন্ট স্কোয়ারের দিকে। এখানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন বালোচ ন্যাশনাল মুভমেন্টের নেতারা। বক্তৃতা দেন ওয়ার্ল্ড সিন্ধ কংগ্রেস এবং বালোচ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের নেতারা। ছিলেন বিভিন্ন মানবাধিকার কমিশনের কর্তারাও।
বালুচিস্তান এবং সিন্ধ প্রদেশে পাকিস্তান যে নিত্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে, এদিন সেই অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। পাকিস্তানের (Sindh) নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে দমন করা হচ্ছে তাঁদের প্রতিবাদী আন্দোলন। বালোচ এবং সিন্ধ প্রদেশে যে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের খুন করা হচ্ছে, সে ব্যাপারেও সোচ্চার হন তাঁরা। পাক সরকার বালোচ ও সিন্ধ ভাষাকে দমন করার চেষ্টা করছে। বদলে দিতে চাইছে বালোচ ও সিন্ধ প্রদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
পাকিস্তানের ধর্মও চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সিন্ধ প্রদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জোর করে বিয়ে এবং ধর্মান্তকরণের জন্যও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে সিন্ধ এবং বালোচ রয়েছেন ১৯ মিলিয়ন। অথচ সিন্ধের প্রধান ভাষা বালোচ নয়। জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে ধর্মও। পাকিস্তানের এহেন আচরণেই ক্ষিপ্ত বালোচ ও সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দারা। পাকিস্তানের কবলমুক্ত হতে চান তাঁরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: