Martial Law: জন-বিক্ষোভের মুখে পড়ে সামরিক আইন প্রত্যাহার করল দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার...
দক্ষিণ কোরিয়ার রাস্তায় বিক্ষোভ। সংগৃহীত চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে সামরিক আইনের বিষয়ে পিছু হটল দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। ৬ ঘণ্টার মধ্যেই দেশ থেকে ‘মার্শাল ল’ (Martial Law) প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। মঙ্গলবার রাতেই তিনি দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। কিন্তু সংসদের দাবি মেনে সেই অবস্থান থেকে পিছু হটলেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এক ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্ট (South Korea)। সারা দেশে সামরিক আইন বা জরুরি অবস্থা জারির মতো সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল তাঁকে, তার ব্যাখ্যাও করেছিলেন ইওল। তিনি জানান, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের মদতে ক্ষমতা দখলের ছক কষছে বিরোধীরা। তাঁর ব্যাখ্যা, দেশকে কমিউনিস্ট আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি নির্মূল করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন (Martial Law) জারি করছেন। এই আইন বাস্তবায়ন করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল পার্ক আন সু-কে।
আরও পড়ুন: ভীত বাংলাদেশ! ত্রিপুরার উপ-দূতাবাস বন্ধ করল ঢাকা, অমিল ভিসা পরিষেবা
সামরিক আইন জারির মধ্যে দিয়ে দেশে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চেয়েছিলেন ইওল। এই আইনের (Martial Law) অধীনে মিটিং-মিছিল করার অধিকার কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ থাকে সরকারের হাতে। কোনও পরোয়ানা ছাড়াই কারোর বাড়ির তল্লাশি নেওয়া যায়। বিরোধিতা করলে আটক, গ্রেফতারও করা যায়। প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেও, তার বিরোধিতা করেন আইন প্রণেতারা। সিওলের রাস্তায় প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের গ্রেফতারির দাবিও তোলা হয়। মার্শাল ল লাগু করতে প্রশাসনের তরফে যুদ্ধে ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক পর্যন্ত নামানো হয়। সংসদ ভবনের ছাদে নামানো হয় হেলিকপ্টার। জোর করে ঢোকে সেনাবাহিনী। এদিকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই সেনাকে এড়িয়ে সংসদে ঢোকেন ১৯০ জন সাংসদ। তারা মার্শাল ল (Martial Law) জারির বিরুদ্ধে ভোট দেন। এরপরই চাপের মুখে পড়ে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) প্রেসিডেন্ট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।