Muhammad Yunus: দ্রুত নির্বাচন চেয়ে মহম্মদ ইউনূসের উপর আরও চাপ বাড়ালো বিএনপি…
মহম্মদ ইউনূস। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস কি নির্বাচন জেনে বুঝেই করাতে চাইছেন না? প্রশ্ন অনেক দিন ধরেই অভিজ্ঞমহলে ঘুরছিল। ক্ষমতালোভী ইউনূস (Muhammad Yunus) কোনও রকম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার ব্যবস্থায় বসেননি। তাই ক্ষমতার হস্তান্তর করতেই কি নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছেন? এই প্রশ্ন এখন ওই দেশের বাংলাদেশ জনতা পার্টি বিএনপি সরাসরি তুলেছে। দলীয় একটি অনুষ্ঠানে দলের প্রবীণ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি একেবারে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসনকে তোপ দেগে বলেন, “নতুন দল গঠনের জন্য রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা চেষ্টা চালাচ্ছে।”
শুক্রবার ঢাকায় (Bangladesh) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন’- শীর্ষক দুদিনের এক সম্মলেনে নাম না করে ইউনূসকে (Muhammad Yunus) উদ্দেশ্য করে রিজভি বলেন, “সরকারি দফতরগুলিতে ফ্যাসিবাদীরা রয়ে গিয়েছে। ফলে নির্বাচন যত দেরি হবে সমস্যা আরও বাড়বে। কারা নির্বাচিত হবে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যদি নির্ধারণ করে দেয় তাহলে এই আত্মত্যাগের কি দাম থাকবে?” আবার পাল্টা নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, “রাজনৈতিক দল গঠনে রাষ্ট্রীয় মদত নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। বিএনপি নিজেদের এই সরকারের অংশ মনে করে না?”
উল্লেখ্য, দেশে (Bangladesh) দ্রুত নির্বাচন করানোর জন্য গত দুই মাস ধরে লাগাতার চাপ তৈরি করেছে বিএনপি। তবে নির্বাচন যখনই হোক না কেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ফলে নির্বাচনে লড়াই করতে তেমন অসুবিধা হবে না। একই ভাবে যদি আদালতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুনঃ দাউদের জন্মদিনে ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা! টার্গেট হিন্দু নেতারা
বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ জানিয়েছে, প্রশাসনিক সংস্কারের পরেই নির্বাচন হবে। ফলে আগামী বছরের শেষ বা ২০২৬ সালের মাঝামাঝির আগে ভোটের সম্ভাবনার ইঙ্গিত রয়েছে। ইউনূস (Muhammad Yunus) পরিচালিত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা এমন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে আমরা দ্রুত একটা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত করে সংস্কারের কাজগুলি করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যাতে এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থাই করতে চাই।” এই প্রসঙ্গে আরও বলা হয়, “সংস্কারের জন্য ১৫টি কমিশনের প্রতিবেদন আগামী জানুয়ারি মাসে জমা হবে।”
আবার অন্তর্বর্তী সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন চায়। কারণ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রধান ফটক নির্বাচন। কিন্তু সংস্কার কমিশনগুলি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসলে ভালো হতো। তা হলে সংস্কার কাজ এগিয়ে যেত।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।