Afghanistan: আফগানিস্তানে শরিয়া লাগু! পরকীয়ায় জড়ালেই মেয়েদের বেত্রাঘাত, পাথর ছুড়ে হত্যার নিদান...
উদ্বিগ্ন আফগান মহিলারা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যভিচার বা অবৈধ যৌনসম্পর্ক করতে ধরা পড়লেই মহিলাদের পাথর ছুড়ে মেরে ফেলার নিদান দিল তালিবান (Taliban)। আফগানিস্তানে (Afghanistan) ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মহিলাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে তালিবান। একের পর এক চরম পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। সম্প্রতি তালিবানের সুপ্রিম নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা ভিডিয়ো বার্তায় ঘোষণা করেন যে আবার প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে মহিলাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নিয়ম চালু করা হচ্ছে।
তালিবান (Taliban) শাসন ফিরে আসার পরে আফগানিস্তানে (Afghanistan) মেয়েদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। চাকরিস্থলেও তাঁদের আর প্রবেশাধিকার নেই। এ বার তালিবান সরকারের নয়া ফতোয়া— মহিলাদের পরকীয়ার শাস্তি প্রকাশ্যে পাথর ছুঁড়ে হত্যা। আখুনজাদা জানান আন্তর্জাতিক মহল মহিলাদের যে অধিকারের স্বপক্ষে বলছে, তা তালিবানের ইসলামিক শরিয়া আইনের বিরুদ্ধে। আখুনজাদা কার্যত হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “আমরা যখন মহিলাদের পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড দিই, তখন আপনারা বলেন এতে মহিলাদের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা শীঘ্রই ব্যভিচারের জন্য এই শাস্তি চালু করতে চলেছি। আমরা প্রকাশ্যে মহিলাদের চাবুকের বাড়ি দেব। জনসমক্ষেই পাথর ছুড়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কাবুল দখল করেই তালিবানের কাজ শেষ হয়ে যায়নি, কাজ সবে শুরু হয়েছে। আমরা এই জমিতে শরিয়া লাগু করব।” আখুনজাদা তাঁদের এই পদক্ষেপকে ‘পশ্চিমি প্রভাবের বিরুদ্ধে তালিবানের লড়াই’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
আরও পড়ুন: সোমালি দস্যুদের কবল থেকে ২৩ জন পাক নাবিককে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা
২০২১ সালে আফগানিস্তানে (Afghanistan) ফিরে আসে তালিবান (Taliban) শাসন। সে সময়ে বহু মানুষ দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। যাঁদের অর্থের জোর ছিল, তাঁরা সফল হয়েছিলেন। বাকিরা নিজের দেশেই ‘বন্দি’। তখন তালিবান অবশ্য দাবি করেছিল, তাদের ‘২.০ সংস্করণ’ নরমপন্থী। নারীশিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা আগের মতো কট্টরপন্থী মনোভাব পোষণ করবে না। যদিও এ কথা বিশ্বাস করেননি কেউই। কিন্তু আফগানিস্তান থেকে মার্কিন এবং ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের পরই আসল রূপ দেখাতে শুরু করে তালিবানরা। একটি আফগান নজরদারি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, গত দু’বছরে তালিবানের নিযুক্ত বিচারক ৪১৭ জনকে প্রকাশ্যে বেত মারা ও মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৫৭ জন মহিলা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।