img

Follow us on

Sunday, Dec 22, 2024

Tarek Fatah: ধর্মীয় বিভাজন এবং ইসলামি চরমপন্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন তারেখ ফাতেহ

৭৩ বছরের জীবন, মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জীবনাবসান

img

ফাইল ছবি, (বাঁ দিকে) তারেক ফাতেহ।

  2023-05-02 07:49:20

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারেক ফাতেহ (Tarek Fatah) জন্মসূত্রে পাকিস্তানি হলেও মননে একজন ভারতীয় হিন্দুস্থানি। অত্যন্ত বিদগ্ধ বক্তা, লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গবেষক এবং কট্টর জেহাদিদের বিশেষ সমালোচক ছিলেন তারেক ফাতেহ (Tarek Fatah)। তাঁর জন্ম ১৯৪৯ সালের ২০ নভেম্বর এবং মৃত্যু ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল। পৈতৃক বাসস্থান ছিল অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে। মুসলমান পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম। পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জৈব রসায়নে ডিগ্রি। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনে যোগদান করেন। ৭৩ বছরের অতিহাবিত করার পর মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

জীবনাদর্শ

ভারতীয় সংস্কৃতির একক সূত্রকে অনুভব করতেন তিনি (Tarek Fatah) এবং এই সংস্কৃতি ভারতকে বিশ্বের সঙ্গে এবং বিশ্বকে ভারতের সঙ্গে এক সূত্রে বাঁধতে পারে বলে বিশ্বাস করতেন। ভারতের ধর্মীয় বিভাজন এবং জেহাদি ইসলামি চরমপন্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন। ইসলামি শরিয়াবিধি শাসনের ছিলেন তীব্র বিরোধী। পাকিস্তান রাষ্ট্রের পরিকাঠামো, উন্নয়ন এবং সামজিক প্রগতিশীলতা নিয়ে গভীর চিন্তার রেখাপাত ঘটেছে বিভিন্ন সময়ে তাঁর লেখা এবং বক্তৃতায়। আর এজন্য পাকিস্তানের জেহাদি কট্টরপন্থীরা বেশ কয়েকবার হামলা চালায় তাঁর উপর।

সাংবাদিকতা ও রাজনীতি

১৯৭০ সালে ‘করাচি সান’ পত্রিকায় বিশেষ লেখালেখির কাজ শুরু করেন। পরে পাকিস্তানের টেলিভিশন সংবাদ মাধ্যমে বিশেষ তদন্তমূলক সংবাদ প্রকাশনার কাজ শুরু করেন। তাঁর (Tarek Fatah) বিতর্কিত সরকার বিরোধী মনোভাব সম্পর্কে লেখালেখির জন্য জিয়া-উল-হক পাক সরকার তাঁর লেখালেখি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁর উপর বিশেষ নিষেধজ্ঞা জারি করে। এরপর ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান ছেড়ে প্রথমে সৌদি আরব এবং পরে কানাডায় চলে যান। সেখানে গিয়ে ২০০৬ সালে NDP ছেড়ে রাজনৈতিক দল Liberal Party Of Canada’s Leadership-এ যোগদান করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টরন্টো রেডিও স্টেশন 'CFRB নিউজ টক ১০১০' তে কাজ করেছেন। পাশাপাশি ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত টরন্টো সান নিউজ নেটওয়ার্কে সম্প্রসারণের কাজ করতেন। ২০১৮ সালে থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি (Tarek Fatah) ‘হোয়াট দ্য ফাতেহ’ নামে নিউ দিল্লি টাইমস নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত বক্তৃতা রাখতেন। তাঁর বক্তব্য এবং বিষয়ের বিশ্লেষণ কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে এবং মানবতার পক্ষে থাকত।

প্রগতিশীল চিন্তাবিদ এবং লেখক 

পাকিস্তান রাষ্ট্র নির্মাণের পিছনে যে সংকীর্ণ দ্বিজাতিতত্ত্ব সক্রিয় ছিল, সেই বিষয়কে তাঁর (Tarek Fatah) সময় দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতেন। দেশ বিভাজন এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে বিষয়কে প্রাসঙ্গিক করে তুলতেন। ভারতের কাশ্মীর প্রসঙ্গে তাঁর ভাবনা ছিল খুব স্পষ্ট। কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাক জঙ্গিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং নাশকাতামূলক কাজে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করতেন। তাঁর লেখা বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “চেজিং এ মিরাজ: দ্য ট্রাজিক ইলিউজন অফ অ্যান ইসলামিক স্টেট” ২০০৮ এবং “দ্য জিউ ইজ নট মাই এনিমি: অ্যান লেভিং দ্য মিথস দ্যাট ফুয়েল মুসলিম অ্যান্টি-সেমিজম” ২০১০। শুধু তাই লেখার সাহিত্যগুণে বার্ষিক হেলেন, স্যান ভাইন কানাডিয়ান সাহিত্য পুরস্কারের মতো বিশেষ সম্মান পান ফাতেহ সাহেব।

মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া

পাঞ্জাবের সিংহ, হিন্দুস্থানের পুত্র, কানাডাপ্রেমী এবং সত্যের জন্য বিশিষ্ট বক্তা বলে মৃত্যুর পর সম্মাজ্ঞাপক শব্দ নিবেদন করেন তাঁর কন্যা। তারেক ফাতেহের (Tarek Fatah)  মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকার্যবাহ শ্রী দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, উনি একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, লেখক এবং অত্যন্ত সুবক্তা ছিলেন। সাহিত্য রচনা এবং সংবাদ মাধ্যমে তাঁর অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ব্যক্তিত্বের ভাবনা দিয়ে সমাজের কাছে প্রয়োজনীয় বিষয় উপস্থাপন করতেন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

pakistan

India

bangla news

Bengali news

Tarek Fatah

critic

religious divisions

Islamic extremism


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর