অশান্ত লোহিত সাগর, মার্কিন বিমান হানা ইয়েমেনের জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে....
লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরী (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে একের পর এক মার্কিন পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালাচ্ছিল ইয়েমেনের বিদ্রোহী জঙ্গি গোষ্ঠী 'হুথি' (Airstrike Against Houthis)। গত ১৯ নভেম্বর থেকেই এই হামলা চলছিল বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। শুক্রবার ভোরে পাল্টা প্রত্যাঘাত চালাল মার্কিন ও ব্রিটিশ বায়ুসেনা। 'হুথি' জঙ্গি গোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল মার্কিন ও ব্রিটিশ বোমারু বিমান (Airstrike Against Houthis)। ইরানের হুথি জঙ্গিগোষ্ঠী প্যালেস্তাইনের হামাস গোষ্ঠীর প্রতিও সহানুভূতিশীল এবং প্রকাশ্যেই তারা এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন জানিয়েছে।
মার্কিন জাহাজগুলির উপরে বেড়ে চলা এই হামলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ফোনে জয়শঙ্করের পরামর্শ চান মার্কিন বিদেশ সচিব। সূত্রের খবর, মার্কিন বিদেশ সচিব জানতে চান, ‘‘পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ শানিয়েছে হুথি জঙ্গিগোষ্ঠী। কী করণীয়!’’ সূত্র মারফত খবর মিলেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এবং মার্কিন বিদেশ সচিবের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় এ বিষয়ে। আসলে হুথি জঙ্গিগোষ্ঠীর (Airstrike Against Houthis) এই আক্রমণে প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে। শুক্রবার ভোর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের যৌথবাহিনী হানা দেয়। ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং বন্দর শহর আল হুদাইদাহ থেকেও শোনা গিয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ।
এয়ার স্ট্রাইকের পরে বিবৃতি সামনে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তাঁর বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘মার্কিন সেনা ব্রিটেনের সঙ্গে যৌথভাবে ইয়েমেনে বিদ্রোহী হুথি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে বোমারু বিমান নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এই অভিযানে আমাদের সমর্থন জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরিন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডস। লোহিত সাগরে দিনের পর দিন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছিল এই হুথি গোষ্ঠী। তার প্রতিশোধ হিসেবেই এই এয়ার স্ট্রাইক। একে মার্কিন সেনা, জলপথে যাতায়াতকারী সাধারণ নাগরিক এবং আমাদের বাণিজ্য সঙ্গীদের বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছিল। ২৭টি হামলায় ৫০টি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০টি দেশের নৌ-সদস্যের উপর হামলা চালানো হয়েছে, তাদের অনেককে আটক করা হয়েছে। লোহিত সাগর যেন আতঙ্কের জলপথে পরিণত হয়েছিল। আমেরিকাকে টার্গেট করে গত ৯ জানুয়ারি হুথিরা (Airstrike Against Houthis) সবচেয়ে বড় অ্যাটাক করেছিল। আজকের হামলা এটা স্পষ্ট করল আমরা গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক জলপথে কোনওরকম বেচার কাজ বরদাস্ত করব না। সেনাকে নির্দেশ দেওয়া আছে, আন্তর্জাতিক জলপথকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।