Pakistan: ঘুঁটি সাজাচ্ছেন ট্রাম্প, কাঁপছে পাকিস্তান, কেন জানেন?
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কো রুবিও। সংগৃহীত ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trumps Cabinet)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পাবেন, তা নিয়েই জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের এই প্রস্তুতি-পর্বই কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের বুকে।
তাঁর মন্ত্রিসভায় যাঁরা জায়গা পাবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে বিলিয়নিয়র, আগ্রাসী বক্তা, ইন্দো-মার্কিন এবং কিছু ‘বিতর্কিত’ ব্যক্তিত্ব। পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ জানিয়েছে, পাকিস্তান হয়ত আমেরিকার বিদেশ নীতির অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই। তবে ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডির নীতিনির্ধারকরা এ খবরে অবাক হয়েছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে কারা জায়গা পাচ্ছেন সেদিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছেন তাঁরা। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, পাকিস্তান মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতার ভারত এবং ইসলামাবাদ সম্পর্কিত বিবৃতিগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন। ট্রাম্প প্রশাসনে জায়গা পাচ্ছেন মার্কো রুবিও, জন রেটক্লিফ এবং মাইক ওয়াল্টজ। এই তিনজনই চিন বিরোধী কঠোর অবস্থানে অনড়। এঁরা বেজিংয়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণাত্মক মনোভাব পোষণ করেন। এই চিন আবার পাকিস্তানের ‘সব মরশুমের বন্ধু’। ফলে, পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে একটি কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে পারে।
As long as Pakistan is providing terrorists with a safe haven, there will be heightened tensions between the two countries. It's time for Pakistan's leaders to stand up against the extremists and terrorists.
— Tulsi Gabbard 🌺 (@TulsiGabbard) March 2, 2019
ট্রাম্প ইতিমধ্যেই (Trumps Cabinet) তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রধান এবং বিদেশ ও প্রতিরক্ষা সচিবদের নিয়োগ করেছেন। এই পদগুলি পাকিস্তান তো বটেই বিশ্ববাসীর কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। এবার দেখে নেওয়া যাক, ট্রাম্প প্রশাসনে যাঁরা ঠাঁই পাবেন, পাকিস্তান সম্পর্কে তাঁরা কীরূপ মনোভাব পোষণ করেন।
US Senator Marco Rubio introduces bill to provide military support to India against China and Pakistan. pic.twitter.com/r2EANBxybK
— RESISTANCE NOW 🇵🇸 (@botofresistance) July 27, 2024
মাইক ওয়াল্টজকে দেখা যেতে পারে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে। পাকিস্তান সম্পর্কে পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্য দেওয়ার জন্য তিনি পরিচিত। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওয়াল্টজ মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য। সফর করেছেন আফগানিস্তান ও পশ্চিম এশিয়া। পাকিস্তান যাতে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাই পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কথাও বলেছেন তিনি।
ট্রাম্প তুলসী গ্যাবার্ডকে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক পদে মনোনীত করেছেন। এই পদে যিনি বসেন, তিনি পরিচালনা করেন ১৮টি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি, ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এবং সিআইএ-ও। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্যাবার্ডের মনোনয়ন পাকিস্তানের পক্ষে স্বস্তিদায়ক নাও হতে পারে। গ্যাবার্ড প্রাক্তন ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসওম্যান। পরে তিনি যোগ দেন ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টিতে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পের হয়ে গলাও ফাটিয়েছেন। তুলসী ভারত-প্রেমী হিসেবেই পরিচিত। সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে তিনি বরাবর ভারতের পাশে থেকেছেন। ইসলামাবাদকে তার মাটি থেকে জঙ্গি হুমকির মোকাবিলা করার জন্য বলেছিলেন তুলসী। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। তার আগে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ভয়াবহ আক্রমণ করেছিল জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতেই এয়ারস্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। পাকিস্তান কীভাবে আল-কায়দার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল, তাও জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিজ্জর হত্যা নিয়ে ‘মানহানিকর প্রচার’, কানাডাকে কড়া জবাব ভারতের
সেনেটর মার্কো রুবিও বিদেশ নীতি বিশেষজ্ঞ। তিনি নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিদেশমন্ত্রীর পদে মনোনীত হয়েছেন। প্রেসিডেন্টের প্রধান বৈদেশিক নীতি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। দেশের শীর্ষ কূটনীতিকও হয়েছিলেন। তিনি নেতৃত্ব দেবেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের। বৈঠক ও বিশ্ব ব্যাপী নানা বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। এই রুবিও জুলাই মাসে মার্কিন সেনেটে একটি পাকিস্তানবিরোধী এবং ভারতপন্থী বিল প্রস্তাব করেছিলেন (Trumps Cabinet)। চিনের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাড়তি প্রভাব মোকাবিলায় ইউএস-ইন্ডিয়া ডিফেন্স কো-অপারেশন অ্যাক্ট দুটি দেশের প্রতিরক্ষা জোটকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত হয়েছিল। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক বিনিয়োগে সহযোগিতার সঙ্গে এটি এও সুপারিশ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে আমেরিকান নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করুক। আমেরিকার উচিত প্রযুক্তিগত স্থানান্তরের দিক থেকে ভারতকে ইউএস চুক্তি সহযোগী এবং ন্যাটো দেশগুলির মতোই বিবেচনা করা (Trumps Cabinet)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।