ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল
এমনই ধ্বংসস্তূপের মাঝে ফের কেঁপে উঠল তুরস্ক
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েকদিনে ৪৭ হাজার মানুষের মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে দেশটি। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বিপর্যস্ত এলাকাগুলির ঘরবাড়ি। উদ্ধারকাজ এখনও শেষ হয়নি। এরমাঝেই আবারও ফিরে এল সেই চেনা আতঙ্ক। আবারও কেঁপে উঠল চারদিক। হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বাড়িঘর। শক্তিশালী ভূমিকম্প ফের জানান দিয়ে গেল বিপদ কাটেনি এখনও।
জানা গেছে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ ভূমিকম্প ঘটে। এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের (Turkey) দক্ষিণের আন্তাকিয়া শহর। পড়শি দেশ সিরিয়া ছাড়াও, মিশর এবং লেবাননেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪।
হাতায়ের মেয়র লুৎফু সাভাস বলেন, নতুন করে ভূমিকম্পে ফের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকে আটকে রয়েছেন। সোমবার তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহতের সংখ্যা ৬০০-র বেশি। এর মধ্যে সামানদাগে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানান, “হাতায় এলাকায় এখনও অনেকেই ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। তার মধ্যেই নতুন করে ফের ভূমিকম্প হয়েছে। অন্তত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।”
দু’সপ্তাহ আগের ভয়াবহতার রেশ এখনও চলছে। ধ্বংসস্তূপে জমা হয়ে থাকা শহর ছেড়ে বর্তমানে সীমান্তের একটি পার্কে তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন কিছু মানুষ। তাঁদের মধ্যে থেকে একজন সোমবারের ভূমিকম্পের সময় পার্কেই ছিলেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলেন ‘‘মনে হচ্ছিল, পায়ের নীচের মাটি দু’ভাগ হয়ে যাচ্ছে, পৃথিবী বুঝি দু’ভাগ হয়ে গেল।’’
এরকমই একটি সোমবারে ভোর সাড়ে ৪ টে নাগাদ দফায় দফায় দুলে ওঠে তুরস্ক-সিরিয়া। মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার পেরিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে যে আরও কত হাজার মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, তার কোনও হিসেবই নেই। হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
Tags: