২৮ অক্টোবর তিনি শপথ গ্রহণ করবেন।
UK Prime Minister
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুনকের নামই চূড়ান্ত করে ফেলল কনজারভেটিভ পার্টি। সোমবার দীপাবলির রাতে এল এই সুখবর। ২৮ অক্টোবর তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। ভারতের জামাই ঋষি আজকে এক ইতিহাস তৈরি করলেন। ১৯১ জনের বেশি সাংসদ তাঁকে সমর্থন করেছেন। ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হবেন ঋষি। আর এই প্রথমবার ব্রিটেনের মসনদে কোনও ভারতীয় বসতে চলেছে।
ঋষি সুনক আগেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য লড়াই করেছিলেন৷ কিন্তু সেবার তিনি পরাজিত হন৷ আগেরবার লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু এবার লিজ ট্রাস দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরে ঋষির প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য ফের আশার আলো দেখা যায়। যদিও বরিস জনসন তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে তিনিও সে জায়গা থেকে সরে আসেন ও ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডেন্টও তাঁর ধারের কাছে যেতে পারেননি। ফলে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। পেনি এদিন ১০০ জনেরও সমর্থন পাননি। ফলে অবশেষে জয়লাভ করলেন ঋষি।
আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ালেন বরিস, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঋষিই?
কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ঋষি, বরিস জনসন মন্ত্রিসভার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীও ছিলেন। ব্রিটেনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকটে তিনিই যোগ্য প্রার্থী হতে পারেন, এ দাবি করেছিলেন তিনি। ফলে ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এখন তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ব্রিটেনের অর্থনীতির পরিস্থিতি ঠিক করা। বর্তমানে দেশের আর্থিক যে পরিস্থিতি তাতে কনজারভেটিভ পার্টি ঋষিকেই যোগ্য বলে মনে করছে। এছাড়াও ঋষিও তাই মনে করেন। প্রসঙ্গত, লিজ ট্রাসের পদত্যাগের কারণও দেশের আর্থিক অবস্থাই ছিল। তিনি আসার পরেও ব্রিটেনে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ফলে এই পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঋষির ওপরেই ভরসা করেছেন কনজারভেটিভ পার্টি সহ ব্রিটেনের জনতা। তবে তিনি কতটা সফল হতে পারেন সেদিকেই তাকিয়ে পুরো বিশ্ববাসী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।