United state: শতাধিক সাংবাদিকের স্বীকৃতি এবং হাসিনার দলের কর্মসূচি বাতিল করা নিয়ে বাংলাদেশকে তোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের...
বাংলদেশের অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (United state) বিপুল জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে বুধবার আমেরিকার বিদেশ দফতর বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, কোনও পরিস্থিতিতেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং অধিকারে হস্তক্ষেপ করা চলবে না। প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সেদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তিন দফায় বাংলাদেশের ১৬৭ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডও বাতিল করেছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার, এমনটাই অভিযোগ। এনিয়ে আমেরকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘‘আমরা চাই সব সাংবাদিকের স্বাধীনতা ও অধিকারকে যথাযথভাবে সম্মান দেখানো হোক।’’
জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট সরকার (United state) ইউনূসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন। গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষমতার পালাবদল হয়, জামাত-বিএনপির সহায়তায় ক্ষমতার মসনদে বসেন ইউনূস। এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছিল আমেরিকার বিদেশ দফতর। কিন্তু ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের এডিটর কাউন্সিলও এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এনিয়ে তারা প্রেস বিবৃতি জারি করেছে। ঢাকা ট্রাইবুনাল নিউজ পেপার এই ঘটনায় প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ১৬৭ জন সাংবাদিককে প্রেস কার্ড বাতিল করেছে ইউনূস সরকার। এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে অনভিপ্রেত এবং অগণতান্ত্রিক।
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সরকার বাংলাদেশ (Bangladesh) সম্পর্কে কেমন অবস্থান নিতে চলেছে, তা বিদায়ী সরকারের বিদেশ নীতিতেই পরিষ্কার। সেই দিশানির্দেশ দেখিয়ে দিয়েছে বুধবার। শুধু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সওয়াল নয়, ইউনূস সরকারকে বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। ১০ নভেম্বর আওয়ামি লিগের রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ধরপাকড়-হামলার প্রসঙ্গ তুলে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের মন্তব্য— ‘‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত পোষণ করতে পারার অধিকারকে সমর্থন করি। আমেরিকা মনে করে, কোনও গণতন্ত্রিক পরিবেশের জন্য এগুলি অপরিহার্য।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।