Visa Backlogs: বড় অংশই ভারতীয়! আমেরিকায় অভিবাসন নীতি নিয়ে আড়াই লক্ষ মানুষের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তায়
আমেরিকায় অভিবাসন নিয়ে সমস্যায় ভারতীয়রা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী নভেম্বরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আমেরিকায়। কমলা হ্যারিস না ডোনাল্ড ট্রাম্প কে আসবেন তা নিয়ে জোর জল্পনা মার্কিন রাজনীতির অন্দর মহলে। মার্কিন নির্বাচনে অভিবাসন নীতি (US Immigration Issues) একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন মিটলেই হয়তো অভিবাসীদের সন্তানদের দেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হবে আমেরিকা। এর মধ্যে একটা বড় অংশই ভারতীয়দের। তাই তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
বহু অভিবাসী (US Immigration Issues) আমেরিকায় গিয়ে সেখানকার নাগরিকদের বিয়ে করেছেন এবং তাঁদের সন্তানও রয়েছে। সেই সংখ্যাটা প্রায় আড়াই লক্ষ। এবার তাঁদের দেশে ফেরত পাঠাতে চাইছে মার্কিন প্রশাসন। এর গোটা দায়ভার পূর্বতন রিপাবলিকান সরকারের উপর চাপিয়েছে হোয়াইট হাউস। যদিও এ দায় অস্বীকার করেছে রিপাবলিকানরা। বিদেশি পড়ুয়ারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্নাতক হলেই 'অটোমেটিক' গ্রিন কার্ড পেয়ে যাবেন বলে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে কট্টর অভিবাসী-বিরোধী বলে নিন্দিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে আমেরিকার স্থায়ী নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন সেখানে স্নাতকস্তরে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা। পড়া শেষ করেই পাততাড়ি গুটিয়ে ফিরে আসতে হবে না দেশে।
রীতিমতো আইনকানুন মেনেই মার্কিন মুলুকে পা রেখেছেন বহু ভারতীয়। পরে সেখানেই থিতু হয়েছেন। তবে তাঁদের সন্তানদের জন্য অপেক্ষা করছে অনিশ্চয়তা। কারণ অভিবাসী (US Immigration Issues) ও মার্কিন নাগরিকের সন্তানদের আর মার্কিন ভূমে রাখা হবে না। এই তরুণ সম্প্রদায়ের অনেকেই এখন ‘ইয়ং অ্যাডাল্ট’ অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার দ্বারপ্রান্তে অপেক্ষা করছেন। এখন তাঁরা স্বপ্ন দেখছেন মার্কিন মুলুকের পাকাপাকি নাগরিক হওয়ার। সেই দায় বইতে চাইছে না প্রশাসন। এই গোটা জটিল প্রক্রিয়ার জন্য রিপাবলিকানদের দিকে দায় ঠেলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব, কেরিন জঁ পিয়ের বলেন, “আগেও তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলোচনা হয়। কিন্তু এই প্রস্তাব রিপাবলিকানরা দুবার বাতিল করেছে।” তিনি জানিয়েছেন, “এই তরুণ প্রজন্ম এখানেই স্কুলে কলেজে পড়েছে। বড় হয়েছে। দীর্ঘদিন গ্রিন কার্ড ইস্যু করা হয়নি। ফলে অনেক অভিবাসীই এই তালিকায় অপেক্ষায় রয়েছেন।”
আরও পড়ুন: পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন
উল্লেখ্য, আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাস করা কয়েক হাজার অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দিতে একটি নতুন উদ্যোগের কথা আগেই অবশ্য ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই উদ্যোগের আওতায় মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেছেন এমন প্রায় পাঁচ লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যদিও এই অভিবাসন নীতি (US Immigration Issues) রিপাব্লিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির ঘোর বিপরীত। তব ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তাতেই দিন কাটাচ্ছেন অভিবাসীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।