লি কিয়াংয়ের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, চিনের নিয়মকে পাশ কাটিয়ে অনৈতিক ভাবে প্রিমিয়ার পদে বসতে চলেছেন তিনি।
লি কিয়াং
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমিউনিস্ট চিনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হয়েছে রবিবার। ভারতের প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে এই অধিবেশনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদে বড় ধরনের রদবদল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, সাংহাইয়ে দলীয় প্রধান লি কিয়াং (Li Qiang) হতে চলেছেন চিনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
সাংহাইয়ে কোভিড সংক্রমণ বাড়বাড়ন্তের সময় ব্যাপক কড়াকড়ি শুরু করেছিল চিনের প্রশাসন। কঠোর নীতি প্রণয়নের নেপথ্যে ছিলেন ছিলেন লি কিয়াং (Li Qiang)। এবার তিনিই চিনের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতে চলেছেন। শি জিনপিং- এর অত্যন্ত ঘনিষ্ট এই নেতা। যদিও এই নেতাকে নিয়ে অসন্তুষ্ট চিনা নাগরিকদের একাংশ। কারণ সাংহাইয়ের আর্থিক অবস্থার অবনতির নেপথ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল লির।
চিনের বার্ষিক এই অধিবেশনে প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। এতে ঘোষিত হওয়া নতুন প্রধানমন্ত্রীকে (Li Qiang) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির হাল ধরতে হবে। জিনপিংয়ের পরে তিনিই হবেন দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় গত বছর দেশটির বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাইয়ে লকডাউন তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। লকডাউনের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ধসে সমালোচিতও হয়েছিলেন লি। তারপরও তাঁর কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে যাওয়ার খবরে অনেকেই বিস্মিত।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডল কেমন থাকবেন জানালেন দিলীপ ঘোষ
লি কিয়াংয়ের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, চিনের নিয়মকে পাশ কাটিয়ে অনৈতিক ভাবে প্রিমিয়ার পদে বসতে চলেছেন তিনি। শুধুমাত্র জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্টতার সুবাদেই দেশের অন্যতম শীর্ষ পদে বসছেন, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাঙ্কার বলেছেন, এই নিয়োগ ঘিরে একেবারেই অখুশি চিনের ব্যবসায়ী মহল। যদিও কোনও সংস্থার তরফে নয়া প্রিমিয়ারের বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে কিছু বলা হয়নি।
আজ বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং মঞ্চের কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। এরপর নতুন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সেই জায়গা দখল করবেন। চিনের প্রিমিয়ার হিসাবে দেশের আর্থিক নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন লি (Li Qiang)। বিশেষজ্ঞদের মতে, শি-লির সুসম্পর্কের চিনা প্রশাসনে একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দুই নেতার মধ্যে বোঝাপড়ার কারণে উন্নতি হতে পারে চি্নের। কিন্তু অপর একাংশের দাবি, নয়া প্রিমিয়ারের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল জিনপিং। তাঁকে খুশি রাখতে ভুল নীতি প্রণয়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে চিনা রাষ্ট্রপতির।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: