img

Follow us on

Saturday, Jan 04, 2025

Kerala Nurses Death Sentence: ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সের, কোন দোষে দোষী জানেন?

Yemen: সম্মতি দিলেন প্রেসিডেন্ট, ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সের মৃত্যদণ্ড কার্যকর হবে কবে?...

img

ইয়েমেনিকে খুনের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সের। প্রতীকী ছবি।

  2024-12-31 15:50:06

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের কেরলের নার্স (Kerala Nurses Death Sentence) জেলবন্দি নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দিলেন ইয়েমেনের (Yemen) প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল আলিমি। গত সাত বছর ধরে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর জীবন সংশয় হওয়ায় বিচলিত দেশ।

খুনের দায়ে জেলবন্দি (Kerala Nurses Death Sentence)

ইয়েমেনের বাসিন্দা তালাল আব্দো মাহদিকে খুনের দায়ে ২০১৭ সাল থেকে সে দেশের জেলে বন্দি রয়েছেন নিমিশা। বছর ছত্রিশের এই নার্সকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে পরিবারের তরফে। প্রয়োজনীয় সাহায্য করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রকও। গ্রেফতার হওয়ার পরের বছরই ওই নার্সকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইয়েমেনের আদালত। আদালতের সেই রায়েই সিলমোহর দিলেন প্রেসিডেন্ট। ‘অস্বাভাবিক’ কিছু না ঘটলে এক মাসের মধ্যেই ওই নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা নার্স ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী ও মেয়ে ভারতে ফিরে এলেও, নিমিশা থেকে যান ইয়েমেনেই। ২০১৫ সালে মাহদির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ক্লিনিক খোলেন ভারতীয় ওই নার্স। পরে শুরু হয় দুই অংশীদারের মতবিরোধ। অভিযোগ, এই সময় নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নেন মাহদি। পুলিশে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

পাসপোর্ট ফেরাতেই খুন!

মাহদির কাছ থেকে পাসপোর্ট ফেরাতে ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই তাঁকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন নিমিশা। ওভারডোজের কারণে মৃত্যু হয় মাহদির। পরে অন্য একজনের সাহায্যে মাহদির দেহ টুকরো টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। ইয়েমেন থেকে পালানোর পথে ধরা পড়েন ওই নার্স। ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। মেয়েকে বাঁচানোর যাবতীয় চেষ্টা করেন নিমিশার মা। ইয়েমেনে আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দেয় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। গত বছর নিমিশার সাজা মকুবের আবেদনও খারিজ হয়ে যায় ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টে (Kerala Nurses Death Sentence)। দেশের শীর্ষ আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন: দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

প্রিয়ার পরিবার সূত্রে খবর, নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিলই। সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় দূতাবাস নিযুক্ত আইনজীবী আবদুল্লা আমির প্রাক-মীমাংসা পর্বেই ১৬.৬ লাখ টাকা দাবি করেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে তাঁকে সেই টাকা দেওয়াও হয়। পরে পারিশ্রমিক বাবদ দু’দফায় ৩৩ লাখ টাকা মিটিয়ে দিতে হবে বলে দাবি জানান তিনি। এই টাকা পেলেই নিহতের পরিবারের সঙ্গে নতুন করে কথাবার্তা শুরু করা যাবে বলে জানান (Yemen) তিনি। তাতেই দীর্ঘায়িত হয় বিষয়টি (Kerala Nurses Death Sentence)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Kerala

death sentence

nurse

news in bengali

Yemen

Kerala Nurses Death Sentence

Yemen prez

Yemen president


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর