মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Iran Blast) কেঁপে উঠল ইরানের কেরমান শহর। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। জখম হয়েছেন ১৪১ জন। সাম্প্রতিক অতীতে এমন ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের সাক্ষী হয়নি এ শহর। বুধবার বিস্ফোরণটি ঘটে নিহত কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির কবরস্থানের কাছে।
সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ!
রাজধানী তেহরান থেকে অকুস্থলের দূরত্ব ৮২০ কিলোমিটার। ঘটনাটিকে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন কেরমান প্রভিন্সের ডেপুটি গভর্নর রাহাম জালানি। মঙ্গলবারই হামাসের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা সেলে আল আরুরি-র মৃত্যু হয়। বেইরুট ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় ইজরায়েলকেই দায়ি করেছে লেবানন। এই হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। তার পরে পরেই ইরানে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় শঙ্কিত কেরমানের বাসিন্দারা। ইরানের (Iran Blast) সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, দু ব্যাগ বোমা বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে। কেরমান শহরের মেয়র সঈদ তাবরিজি জানান, বোমার ব্যাগগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ১০ মিনিট ছাড়া।
বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন দেহ
প্রসঙ্গত, ইরানের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সুলেমানি, ইসলামিক রিভলিউশনারি গার্ডস কর্পসের কুদস ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। একটি মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ঘায়ে নিহত হন তিনি। এদিন প্রয়াত এই কমান্ডারের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বহু মানুষ। আচমকা বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যান তাঁদের অনেকই।
ইরানে প্রয়াত এই কমান্ডারের জনপ্রিয়তা খুব কম নয়। ২০১৮ সালের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, ইরানের ৮৩ শতাংশ মানুষ সোলেইমানির পক্ষে রয়েছেন। যা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হাসান রউহানি এবং বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ জারফির চেয়ে ঢের বেশি।
আরও পড়ুুন: তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নবীন-প্রবীণ কারা, ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে হামাসের পক্ষেই দাঁড়িয়েছে ইরান। স্বাভাবিকভাবেই তারা রয়েছে ইজরায়েলের বিষ নজরে। দিন কয়েক আগেই ইরান জানিয়েছিল, যারা ইজরায়েলের পাশে রয়েছে, তাদের যথোচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। তার পরেই ঘটল এদিনের বিস্ফোরণের ঘটনা (Iran Blast)।
নিছকই কাকতালীয়, নাকি ঘটনার পরম্পরা!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours