মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএল-এ ব্যাকফুটে ইস্টবেঙ্গল (ISL East Bengal)। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত পরপর ২টি ম্যাচ জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবারও সেই ধারা অব্যাহত। হায়দ্রাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পর জামশেদপুর এফসি-র কাছে ১-২ হেরে গেল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। এই হারের ফলে ১৫ ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল-এ ৮ নম্বরে লাল-হলুদ। ফলে সুপার সিক্সের লড়াই অত্যন্ত কঠিন হয়ে গেল লাল-হলুদের পক্ষে। ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ ২৬ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে।
শুরু থেকেই ছন্দহীন
জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেকে এদিনের ম্যাচে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল না ইস্টবেঙ্গল (ISL East Bengal)। লাল হলুদ জার্সি গায়ে এদিন প্রথম ম্যাচটি খেললেন আলেকজান্ডার প্যান্টিচ। তবে তেমন নজর কাড়তে পারলেন না। নন্দ কুমার গোল করলেও তাঁর এবং নওরেম মহেশের খেলা খুশি করতে পারেনি লাল হলুদ ভক্তদের। মহেশ বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেন। সেই সুযোগ নষ্টেরই খেসারত দিতে হয় দলকে। ঘরের মাঠে শুরু থেকে দাপট দেখায় জামশেদপুর এফসি। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার হাভিয়ের সিভেরিও এখন জামশেদপুর এফসিতে। প্রাক্তন দল ইস্টবেঙ্গলকে প্রবল চাপে রাখেন সিভেরিও। শুরু থেকে গোলের সুযোগও বেশি তৈরি করেছে খালিদ জামিলের প্রশিক্ষণাধীন জামশেদপুর।
ও ইস্টবেঙ্গল, এগিয়ে চলো! 🔥#JFCEBFC #JoyEastBengal #EastBengalFC #ISL10 #LetsFootball pic.twitter.com/qBsPKt9c12
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) February 22, 2024
প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলকে (ISL East Bengal) কার্যত খুঁজে পাওয়া যায়নি। শেষ দিকে জামশেদপুরের ভুলে তারা গোল দিয়ে এগিয়ে যায়। সেই গোল এবং দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক সুযোগ তাদের তিন পয়েন্ট এনে দিতেই পারত। কিন্তু ৮০ মিনিটে জামিলের তিন পরিবর্তন কাজে লাগল। নিখিল বারলা, তাচিকাওয়া এবং স্টেভানোভিচকে নামিয়ে দেন। পরের মিনিটেই বারলার পাস থেকে হেডে সমতা ফেরান তাচিকাওয়া। তবে জয়সূচক গোল মানজোরোর। এই ফুটবলারই আগের ম্যাচে পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে দু’টি ফ্রিকিক পেয়ে দু’টিতেই গোল করেছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও তার অন্যথা হল না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours