মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়া জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং অরণ্য 'জয়পুর ফরেস্ট'। দুপাশে শাল, শিমূলের নিবিড় অরণ্যর বুক চিরে চলে গেছে রাজপথ। মাঝে মধ্যেই দেখা মেলে হাতিদের চলাচল করার জন্য "এলিফ্যান্ট করিডোর" (Bankura)। নিবিড় অরণ্যের মাঝে বাস করে হাতি সহ হরিণ, সজারু, ময়ূর আর নানান প্রজাতির পাখি। অরণ্যের শিহরণ, নিস্তব্ধতা প্রতিনিয়ত গ্রাস করে অরণ্যপ্রেমী পর্যটকের হৃদয়। এই অনাবিল আরণ্যক সৌন্দর্য তো মনপ্রাণ দিয়ে উপভোগ করবেনই। তার সঙ্গেই দেখে নিন ইতিহাসের এক অপূর্ব আর জ্বলন্ত সাক্ষী।
মল্লরাজাদের গড়ের ভগ্নাবশেষ (Bankura)
জয়পুর ফরেস্টের মধ্যেই রয়েছে মল্লরাজাদের গড়ের ভগ্নাবশেষ। এখানে এলে অবশ্যই দেখে নিন সুপ্রাচীন গোকুলচাঁদ মন্দিরটি। বাঁকুড়া জেলার বৃহত্তম এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল প্রথম রঘুনাথ সিংহের রাজত্বকালে, ১৬৪৩ সালে। আবার এও বলা হয়, মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয় বীর হাম্বীরের পূর্ববর্তী মল্লরাজা চন্দ্রমল্লের আমলে। ল্যাটেরাইট পাথরে নির্মিত মন্দিরটি দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ৪৫ ফুট এবং উচ্চতায়ও ৪৫ ফুট। এর চুড়াগুলি লক্ষণীয়। মন্দিরটি পূর্বমুখী, পঞ্চরত্ন (Bankura)। এই মন্দিরের প্রধান বিগ্রহ গোকুলচাঁদ। প্রায় পরিত্যক্ত এই মন্দিরটি আজও বাংলার প্রাচীন শিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এর কাছেই জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে এক বিশাল বাঁধ বা সরোবর, নাম সমুদ্র বাঁধ। একই সঙ্গে অরণ্যর শিহরণ, ইতিহাসের আঘ্রাণ, আর অমলিন প্রকৃতিকে পেতে হলে জয়পুর ফরেস্ট হল অন্যতম সেরা ঠিকানা।
কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ১২৭ কিমি (Bankura)
যাতায়াত-কলকাতা থেকে বিষ্ণুপুর বা বাঁকুড়াগামী সব বাসই যাচ্ছে জয়পুরের ওপর দিয়ে। সড়কপথে কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ১২৭ কিমি। বিষ্ণুপুর প্রায় ১৪ কিমি। আর ট্রেনে গেলে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, আরণ্যক এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেনে গিয়ে বিষ্ণুপুর নেমে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে যেতে হবে জয়পুর (Bankura)।
থাকা খাওয়া-এখানে রয়েছে জঙ্গলের অভ্যন্তরে আরণ্যক রিসর্ট ( ৮২৪০০৮৫২৪৩ ), বনলতা রিসর্ট ( ৯৭৩২১১১৭০৬ ) প্রভৃতি। দুটিতেই খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours