মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসময় ছিল তা সন্ত্রাসের বধ্যভূমি তবে এখন জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। হ্যাঁ কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir Tourism) কথাই বলা হচ্ছে। ৯০ এর দশক থেকেই সেখানে পাকিস্তানের মদতে মাথাচাড়া দিতে থাকে সন্ত্রাস। দলে দলে ভিটেমাটি ছাড়া হতে থাকেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। অবস্থার বদল হতে থাকে দ্বিতীয়বার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে ৩৭০ ধারার বিলোপ করে মোদি সরকার। তারপর থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। আর ফিরে তাকাতে হয়নি! তিন বছরের মধ্যে দেশের সবথেকে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের তকমা পেয়েছে এই রাজ্য। শ্যুটিং চলছে ২০০টিরও বেশি ছবির।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে 'গ্রাম সম্পর্ক' অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা
কী বলছে সমীক্ষা
ইন্ডিয়া টুডের একটি সমীক্ষায় পর্যটকদের তালিকায় প্রথম পছন্দ হিসেবে উঠে এসেছে এই রাজ্য। লকডাউন পরবর্তী সময়ে সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল ট্রেড এক্সপো নামের একটি ট্যুর সংস্থা কাশ্মীরকে পুরস্কৃত করেছে সবথেকে ভাল পর্যটন শিল্পের জন্য।পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে ১.৮৮ কোটি পর্যটক সারা বিশ্ব থেকে কাশ্মীর ভ্রমণে গেছেন বলে জানা গেছে। এটা একটা রেকর্ড। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের বেশ কিছু অঞ্চলে গত ৩০ বছর ধরে প্রবেশ নিষেধ ছিল। সেসমস্ত এলাকাগুলিতে এখন পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কাশ্মীর ভ্রমণকে কটাক্ষ করে বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও এখন কাশ্মীরকে উপভোগ করছে। সূত্র মারফত জানা গেছে মোট ৭৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ২০১৯ সালের পর থেকে। হোটেলগুলি কখনও ফাঁকা থাকছেনা। বিভিন্নজন বাড়ি ভাড়া দিয়েও আয় করছেন। সবমিলিয়ে নতুন কাশ্মীর নজরে পড়ছে।
আরও পড়ুন: জেলের মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! মৃত্যু হল মুসেওয়ালা খুনে ধৃত ২ দুষ্কৃতীর, আহত ১
+ There are no comments
Add yours